পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও অবহেলিত ফসল মিষ্টি আলু বর্তমানে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। শর্করার বিকল্প হিসেবে ভাতের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ এ কন্দজাত ফসল ভোক্তাদের কাছে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে অফ সিজনের কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি আলুর মৌসুম অক্টোবর-নভেম্বর (কার্তিক-অগ্রহায়ণ)। বর্তমানে স্থানীয় উৎপাদন না থাকায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মূলত আমদানিকৃত আলু। ফলে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বেড়ে গেছে। গুলশান, ফার্মগেট ও উত্তর বাড্ডা বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। দরদামে চূড়ান্ত হলে ভোক্তাদের গুনতে হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা। তবে কারওয়ান বাজারের মতো বড় বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ১৭০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।
তেজগাঁও কলেজ সংলগ্ন এলাকায় মিষ্টি আলু বিক্রি করা ব্যবসায়ী নিজামুদ্দীন বলেন, “এখন আলুর সিজন না। বাজারে যে মিষ্টি আলু পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো বেশিরভাগই আমদানি করা। আমরা ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি করছি। যারা কিনছেন, তারা দামের দিকে তেমন তাকাচ্ছেন না। চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে।”
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়। এতে ভিটামিন এ, বি, সি ছাড়াও ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান থাকায় ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরে মিষ্টি আলুর উৎপাদন গড়ে ২০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে উৎপাদন হয়েছে ২০ লাখ ২৮ হাজার টন, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১৮ লাখ ১৯ হাজার টন।
তবে এই পরিসংখ্যান নিয়ে সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেছেন। ঠাঁকুরগাঁও হাওলাদার হিমাগার লিমিটেডের পরিচালক মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, “আমাদের অঞ্চলে আলুর উৎপাদন বেশি হলেও চাষিরা মিষ্টি আলুর দিকে তেমন আগ্রহী নন। কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যে অনেক প্রশ্ন থেকে যায়।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।