চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১১টি পদের মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৭টিতেই বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হলুদ প্যানেলের প্রার্থীরা। এতে ভরাডুবি হয়েছে উপাচার্যপন্থী প্যানেলের প্রার্থীদের।
আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৮৯৫ জন ভোটারের মধ্যে ৭৪৩ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
গণনা শেষে রাত ৮টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দীন।
সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন হলুদ প্যানেলের প্রার্থী রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকি, সহসভাপতি পদে হলুদ প্যানেলের প্রার্থী নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ পদে হলুদ প্যানেলের প্রার্থী ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হলুদ প্যানেলের প্রার্থী ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক এবং যুগ্ম সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন উপাচার্যপন্থী প্যানেলের প্রার্থী জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।
ছয়টি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন-উপাচার্যপন্থী প্যানেলের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রকিবা নবী, হলুদ প্যানেলের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, উপাচার্যপন্থী প্যানেলের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া, হলুদ প্যানেলের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এস এম সালামত উল্যা ভূঁইয়া, উপাচার্যপন্থী প্যানেলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম, হলুদ প্যানেলের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে গত কয়েক বছরের মতো এবারও অংশ নেয়নি বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকেরা। তবে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন পূর্ণ প্যানেলে প্রার্থী দিলেও নিজেদের ‘মূল হলুদ প্যানেল’ দল দাবি করে প্রার্থী দিয়েছে আরেকটি অংশ। এই প্যানেলকে ‘উপাচার্যপন্থী’ বলছেন হলুদ প্যানেলের নেতারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।