যে দুটি বিষয়ের কারণে ১০ বছর ধরে শিক্ষা আইনের খসড়া ঘুরপাক খাচ্ছে, তার একটি হলো কোচিং সেন্টার অন্যটি নোট ও গাইড বই। অবশেষে এ বিষয়ে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। এখন শুধু অনুমোদনের অপেক্ষা।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশে কোচিং সেন্টারের বৈধতা দিয়ে শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। তবে দিনে নয়, সন্ধ্যার পর কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা যাবে। সেখানে শিক্ষকতাও করা যাবে। তবে কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে পড়াতে পারবেন না। যদি কোন শিক্ষক সন্ধ্যার আগে বা দিনে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট কোচিং সেন্টারের লাইসেন্স বাতিল হবে। তবে কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের ড্রেস কোড থাকছে না।
প্রস্তাবিত আইনে আরেক আলোচিত বিষয় নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধই রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ধরনের নোট বই বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে না। কেউ যদি তা করেন, তাহলে তাঁকে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোনো শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের নোট ও গাইড কিনতে বা পাঠে বাধ্য করেন বা উৎসাহ দেন, তাহলে অসদাচরণের জন্য প্রশাসনিক শাস্তি ভোগ করতে হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষা আইনের খসড়াটি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। শিগগির খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। এরপর তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।
রোববার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, তেমন কিছুই পরিবর্তন আনা হয়নি। শিগগিরই চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘খসড়ায় তেমন পরিবর্তন আনা হয়নি। আইনে না থাকলেও হয় এমন দুটি বিষয় বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ড্রেস কোড রয়েছে, তা আইনে রাখা হয়নি। এছাড়া খসড়া অনুযায়ী নোট-গাইড নিষিদ্ধ রাখার বিষয়টি আগের মতোই রয়েছে।’
বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।