চলছে প্রশ্নপত্র তৈরীর কাজ, যে সময় হতে পারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

জুমবাংলা ডেস্ক: ডিসেম্বরে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা শেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এই নিয়োগের আবেদন কার্যক্রম শেষে তা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে প্রশ্নপত্র তৈরি, ওএমআর (উত্তরপত্র) তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে। এ বছরের ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হবে।

শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৩ লাখের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে প্রস্তুতি শুরু করা হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মকমিশনের নিয়োগ পরীক্ষাসহ অন্যান্য সরকারি নিয়োগ পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হবে। জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে পরীক্ষা শুরু করা হবে।

করোনার কারণে পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এই নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায়ও নিয়োগ-সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে।

সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার; যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবেন ২৫ হাজার ৬৩০ জন। বাকিগুলো শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়োগে ১৩ লাখ পাঁচ হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়েছে।

আগামী ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষার সময়সূচির অনুমোদন দেয়। এইচএসসি পরীক্ষায় তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর।

সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা, দুই শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।