জুমবাংলা ডেস্ক: আগামী বছর জুন মাসে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। শুরুতে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশের ট্রেন চালু করা হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
২৫ জুন নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ। এর পরদিন ২৬ জুন যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় সেতুটি। এখন অপেক্ষা শুধু ট্রেন চলাচলের। পদ্মা সেতুতে ওপর দিয়ে চলছে বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কারসহ অন্য যানবাহন আর নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।
আগামী মাস থেকে সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হবে।
পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ (সেতু বিভাগ) আগামী মাসে সেতুর নিচের অংশ তাদের কাছে বুঝিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে। আমাদের কাছে বুঝিয়ে দিলে আশা করছি ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে আমরা মূল সেতুতে রেল লাইন স্থাপনের কাজ শেষ করতে পারব।’
তিনি বলেন, সেতুর নিচতলায় গ্যাসের লাইন নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় আমাদেরকে সেতু বুঝিয়ে দিতে না পারায় আমরা রেললাইন বসাতে পারিনি। তাই সেতুর সঙ্গে রেল লাইনও উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এখন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন আগামী বছরের জুনে চালুর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এই পথের দূরত্ব ৮২ কিলোমিটার। ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর রেলসংযোগ আগে থেকেই আছে। ফলে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথের কাজ শেষ হলে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে বিকল্প আরেকটি পথ চালু হয়ে যাবে। এখন ঢাকা থেকে রেলের পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে যায়।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। জিটুজি (সরকারি পর্যায়ে) পদ্ধতিতে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতু ও এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। শুরুতে যানবাহনের সঙ্গে একই দিন রেল চালুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। প্রকল্পের অগ্রগতি-সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত মে পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৬০ শতাংশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।