জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। জেলার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবারসহ ২০টি গ্রাম ও অন্য উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাদ্রা দরবার ও চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারীরা এদিন ঈদ উল ফিতর পালন করছেন।
আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠ ও সমেশপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখার তথ্যের ওপর ভিত্তিকরে রোজা ও ঈদ উদযাপন করে থাকেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা। সেই আলোকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করছেন তাঁরা।
সাদ্রা দরবার শরীফের স্থানীয়রা জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, প্রতাপপুর, শমেসপুর, বলাখাল, দক্ষিণ বলাখাল, নিলাম বলাখাল, মনিহার, বড়কুল, অলিপুর, উচ্চঙ্গা, বেলচোঁ, সেন্দ্রা, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলব উপজেলার মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েক গ্রামে আজ ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে।
জানা যায়, ১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের রামচন্দ্রপুর মাদরাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন শুরু করেন। এরপর থেকে চাঁদপুরের প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ দেশের একদিন আগেই রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন। তবে তাদের বক্তব্য মতে, তারা সৌদি আরবকে অনুসরণ করে নয়; বরং চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করেই রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীরের ছেলে সাহেবজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, এখানে রোজা ও ঈদ সৌদি আরবকে অনুসরণ করে হয় না; বরং ‘এক দুনিয়া এক চাঁদ’ নিয়ম অনুসারে বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার বিষ্যটি নিশ্চিত হলে আমরা রোজা ও ঈদ উদযাপন করে থাকি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।