জুমবাংলা ডেস্ক: নানা জাতের ফুলে ফলে এখন সেবাপ্রার্থীসহ সবার নজরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। আর এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বর্ধনের নিরলস কাজ করেছেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান।
জানা গেছে, হাসপাতালের এরিয়ার ভিতর পরিত্যক্ত এবং নোংরা স্থানগুলো পরিষ্কার পরিছন্ন করে নানা জাতের ফুল ফল গাছ সারি সারি লাগানো হয়েছে। এরমধ্যে বকুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, জারুল, নিম, আমড়া, বেল, হরিতকী, বাগান বিলাস, পেয়ারাসহ নানা জাতের গাছ রয়েছে। যেগুলো ফুল গাছে ফুল এবং ফল গাছে ফল ধরেছে। এতে করে একদিকে যেমন সবুজায়ন করা হয়েছে। অপরদিকে এমন দৃশ্যপট সেবাপ্রার্থীদেরও প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
নুসরাত নামের এক সেবাপ্রার্থী বলেন, আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা। রোগীদের দীর্ঘ লাইনে অসহ্য লাগছিলো। হঠাৎ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা ও এর চারপাশের নানা জাতের গাছের ফুল-ফলের দিকে নজর যায়। এতে করে মনটা ভালো হয়ে যায়।
আলমগীর বাবু নামের আরেক সেবাপ্রার্থী বলেন, যখন বৃষ্টি এই সারি সারি ছোট ছোট গাছগুলোর ওপর পড়ে, মনে চমৎকার অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আর এমনভাবে গাছগুলো হাসপাতালের চারপাশে লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, সবুজায়নকে আমি ভালোবাসি। দেখলাম হাসপাতাল এরিয়ায় অনেক জায়গা পরিত্যক্ত ও নোংরা হওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমি উদ্যোগ নিয়ে এসব পরিত্যাক্ত স্থান বিশেষ করে ড্রেনের পাশ এবং টয়লেটের ট্যাংকির আশপাশ ভালোভাবে পরিষ্কার পরিছন্ন করিয়েছি। তারপর নানা জাতের শতাধিক ফুল ফল গাছ লাগিয়েছি। এগুলো এখন বেড়ে উঠে চারদিকে সুবাস ছড়াচ্ছে দেখে আমার নিজের কাছেও ভালো লাগছে।
ডা. মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, এক সময় হয়তো আমি এই হাসপাতালের দায়িত্বে থাকবো না তবে গাছগুলো থাকবে। আর আমি আমার হাতের ছোঁয়া গাছগুলোর মধ্য দিয়ে রেখে যাচ্ছি ভেবে মনে শান্তি পাই। প্রায়ই আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্টাফসহ গাছগুলো পরিচর্যা করিয়ে থাকি। আমি হাসপাতালটির সেবার মান বজায় রাখার পাশাপাশি এ ধরনের ভালো কাজ করে যেতে পারি, সেজন্য সকলের দোয়া কামনা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।