Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home চাঁদে মানুষ নামার ঘটনা সাজানো!
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

চাঁদে মানুষ নামার ঘটনা সাজানো!

mohammadJuly 22, 20196 Mins Read
Advertisement

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে প্রথম চাঁদে গিয়ে যখন নেমেছিলেন মার্কিন নভোচারীরা, সেই ঘটনা বিশ্বজুড়ে দেখেছেন কোটি কোটি মানুষ।কিন্তু পৃথিবীতে এখনো এমন বহু মানুষ আছেন, যারা বিশ্বাস করেন, মানুষ আসলে কোনদিন চাঁদে যায়নি।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে জরিপ চালিয়েছে। তাদের জরিপে সব সময় দেখা গেছে, চাঁদে মানুষ যাওয়ার ব্যাপারটিকে সাজানো ঘটনা বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় পাঁচ শতাংশ মানুষ। এদের সংখ্যা হয়তো কম, কিন্তু চাঁদে যাওয়ার ব্যাপারে অবিশ্বাস ছড়ানোর জন্য যড়যন্ত্র তত্ত্ব জিইয়ে রাখতে সেটিই যথেষ্ট।

চাঁদে মানুষ যাওয়ার ব্যপারটিকে পুরোপুরি ধাপ্পাবাজি মনে করেন যারা, তারা এর সপক্ষে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেন। এরা মনে করেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র সেরকম প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ তখনো ছিল না, যেটি সফল অভিযানের জন্য দরকার ছিল।

এই যুক্তি দিয়ে এরা বলে থাকেন, নাসা তাদের অভিযান যে সফল হবে না, সেটা বুঝে ফেলেছিল। কাজেই তারা সোভিয়েত ইউনিয়নকে মহাকাশ অভিযানে টেক্কা দেয়ার জন্য হয়তো চাঁদে সফল অভিযান চালানোর নাটক সাজিয়েছে। কারণ মহাকাশ অভিযানে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে ছিল, এমনকি তারা চাঁদের বুকে একটি যান ক্র্যাশ ল্যান্ড করিয়েছিল।

নিল আর্মস্ট্রং চাঁদের বুকে পা দিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ডালপালা ছড়াতে থাকে।

তবে এসব গুজব বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পাত্তা পেতে শুরু করে ১৯৭৬ সালে একটি বই প্রকাশ হওয়ার পর। বইটির লেখক একজন সাংবাদিক বিল কেসিং। নাসার একটি ঠিকাদার কোম্পানির জনসংযোগ বিভাগে তিনি কিছুদিন কাজ করেছিলেন। তার বইটির নাম ছিল, “উই নেভার ওয়েন্ট টু মুন: আমেরিকাস থার্টি বিলিয়ন ডলার সুইন্ডল।”

লেখকের মূল বক্তব্য হচ্ছে, মানুষ কখনো চাঁদে যায়নি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসলে তিন হাজার কোটি ডলারের প্রবঞ্চনা করা হয়েছে। এই বইতে এমন কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছিল যা পরবর্তী বছরগুলোতে ”চন্দ্র অভিযানের” সাফল্যে অবিশ্বাসীরা এই বিতর্কে সবসময় উল্লেখ করেছেন।চাঁদের বাতাসহীন পরিমন্ডলে পতাকা উড়লো কীভাবে

কিছু ছবি দিয়ে তারা এই উদাহারণটি দেয়ার চেষ্টা করেন। তাদের প্রশ্ন, চাঁদে তো বাতাস নেই, তাহলে সেখানে মার্কিন পতাকা উড়লো কেমন করে। তাদের আরও প্রশ্ন, কেন এই ছবিতে চাঁদের আকাশে কোন তারামন্ডল দেখা যাচ্ছে না। এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে নাকচ করে দেয়ার মতো অনেক বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে, বলছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মাইকেল রিক। তিনি বলেন, নিল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন যখন পতাকাটি খুঁটি দিয়ে চাঁদের মাটিতে লাগাচ্ছিলেন, তখন সেটি কুঁচকে গিয়েছিল। আর যেহেতু পৃথিবীর তুলনায় চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ছয় গুণ কম, তাই কুঁচকানো পতাকাটি সেরকমই থেকে গিয়েছিল। চাঁদের আকাশে কেন তারা নেই চাঁদে যাওয়ার কথা যারা অস্বীকার করেন, তারা প্রমাণ হিসেবে এই বিষয়টির কথা উল্লেখ করেন। তাদের প্রশ্ন, কেন চাঁদে নামার এই ছবির পেছনের আকাশে কোন নক্ষত্র দেখা যাচ্ছে না।

বাস্তবে আসলে এই ছবিতে উজ্জ্বল আলো এবং অন্ধকারের একটা বিরাট পার্থক্যই চোখে পড়ে।

অ্যাপোলো ১১: যে ‘বাচ্চারা’ আমাদের চাঁদে নিয়ে গিয়েছিল
এটা কেন? রচেস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অ্যাস্ট্রো ফিজিক্সের অধ্যাপক ব্রায়ান কোবারলিন বলেন, এর কারণ, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়। সে কারণে ছবিতে এত উজ্জ্বলতা চোখে পড়ছে। আর এই উজ্জল আলোর কারণেই পেছনের আকাশের তারকার আলো ম্লান হয়ে গেছে। এ কারণেই অ্যাপোলো ১১ মিশনের ছবিতে চাঁদের আকাশে কোন তারা দেখা যায় না। কারণ এসব তারার আলো খুবই দুর্বল। আর ক্যামেরার এক্সপোজার টাইমও হয়তো ছিল অনেক বেশি।

নকল পায়ের ছাপ নিল আর্মস্ট্রং এর বুটের ছাপ। চাঁদে যেহেতু বাতাস নেই, তাই এই ছাপ থেকে যাবে লাখ লাখ বছর। নভোচারীরা চাঁদের বুকে যে পায়ের ছাপ রেখে এসেছিলেন, সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এ নিয়ে সন্দেহপোষণকারীরা।

তাদের কথা হচ্ছে, চাঁদে কোন আর্দ্রতা নেই। কাজেই বাজ অলড্রিনরা সেখানে যে পায়ের ছাপ রেখে এসেছেন, সেগুলো হওয়ারই কথা নয়। এর প্রত্যুত্তরে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিলেন আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্ক রবিনসন। “চাঁদের মাটি এক ধরণের পাথর আর ধূলায় ঢাকা, যার নাম ‘রেগোলিথ।’ এই স্তরটি খুবই ফাঁপা, এবং পা রাখলেই তা ডেবে যায়। আর মাটির কণাগুলো যেহেতু একটার সঙ্গে একটা লেগে থাকে, তাই জুতোর ছাপ পড়ার পর সেটি সেভাবেই থেকে যায়।”

মার্ক রবিনসন বলেন, চাঁদের বুকে নভোচারীদের এই পায়ের ছাপ থেকে যাবে লক্ষ লক্ষ বছর, কারণ সেখানে যেহেতু কোন বায়ুমন্ডল নেই, তাই কোন বাতাসও নেই।

পৃথিবীকে ঘিরে থাকা রেডিয়েশন বেল্টে নভোচারীরা মারাত্মক তেজস্ক্রিয়তার শিকার হতে পারেন আরেকটি জনপ্রিয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হচ্ছে, পৃথিবীকে ঘিরে যে তেজস্ক্রিয়তার পরিমন্ডল, সেটিতে নভোচারীদের মারা যাওয়ার কথা। তারা কীভাবে চাঁদে যেতে পারে?

পৃথিবীকে ঘিরে এই তেজস্ক্রিয় অঞ্চলটিকে বলে ‘ভ্যান অ্যালেন বেল্ট’ এবং সৌর ঝড় আর পৃথিবীর চুম্বকীয় ক্ষেত্রের নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় এই তেজস্ক্রিয়তার সৃষ্টি হয়। মহাকাশ অভিযান নিয়ে যখন প্রতিযোগিতা শুরু হলো, তখন এই বিকীরণ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যেও উদ্বেগ ছিল। তাদের আশংকা ছিল মানুষ মারাত্মক মাত্রার তেজস্ক্রিয়তার শিকার হতে পারে।

তবে নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, অ্যাপোলো-১১ এর ক্রু যারা ছিলেন, চাঁদে যাওয়ার সময় তারা ভ্যান অ্যালেন বেল্টে ছিলেন মাত্র দুই ঘন্টা। আর এই বেল্টের যে অঞ্চলটিতে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা সবচেয়ে বেশি, সেখানে তারা অবস্থান করেন পাঁচ মিনিটেরও কম। ফলে তাদের ওপর তেজস্ক্রিয়তার সেরকম প্রভাব একেবারেই পড়েনি।

২০১২ সালে নাসার প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে অ্যাপোলো-১১ এর লুনার মডিউলের পড়ে থাকা অংশ চাঁদে পরবর্তীকালে যেসব নভোযান পাঠানো হয়েছে সেগুলো থেকে অ্যাপোলোর ল্যান্ডিং সাইটের অনেক ছবি তোলা হয়েছে। নাসা সেসব ছবি প্রকাশও করেছে।

২০০৯ সাল থেকে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে এরকম একটি নভোযান। সেটি থেকে তোলা ছবি স্পষ্টই প্রমাণ করে যে চাঁদে আসলেই মানুষ নেমেছিল। অ্যাপোলো-১১ যেখানটায় নেমেছিল, ঠিক সেখানকার কিছু ছবিতে ঐ অভিযানের অনেক প্রমাণ চোখে পড়ছে। মাটির ওপর ছাপ তো আছেই, আরও আছে লুনার মডিউলের পড়ে থাকা অংশ।

শুধু তাই নয়, ছয় জন মার্কিন নভোচারী চাঁদে যে মার্কিন পতাকা গেড়ে এসেছিলেন, সেগুলো এখনো আছে। সেই পতাকার ছায়াও ধরা পড়েছে ছবিতে। তবে একটি পতাকা আগের জায়গায় নেই। বাজ অলড্রিন জানিয়েছেন, তাদের লুনার মডিউল যখন ফিরে আসার জন্য চাঁদের বুক থেকে উঠছিল, তখন ইঞ্জিনের নির্গত ধোঁয়ায় সেটি পড়ে যায়।

যদি মার্কিনীরা সত্যিই চাঁদে না গিয়ে থাকে, তাহলে সোভিয়েতরা কেন এরকম একটি সাজানো ঘটনায় বিশ্বাস করবে?

সোভিয়েতরা চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রতিযোগিতায় হেরে গেলেও মার্কিনীদের সাফল্য নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেনি উপরের প্রতিটি ষড়যন্ত্র তত্ত্বই অসার প্রমাণিত হয়েছে, কিন্তু তারপরও এগুলোতে এখনো বিশ্বাস করে অনেক মানুষ।

কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে, ১৯৬৯ সালের ২০শে জুলাই নিল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন। চাঁদে মানুষের সফল অভিযান সম্পর্কে যারা নানা রকম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ান, তাদেরকে একটা প্রশ্ন সব সময় করা হয়। তা হলো, যেখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তীব স্নায়ু যুদ্ধ আর চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রতিযোগিতা চলছে, সেখানে তারা কেন মার্কিনীদের সাজানো ঘটনা মেনে নেবে। নাসার সাবেক এক ইতিহাসবিদ রবার্ট লনিয়াস বলেন, “আমরা যদি চাঁদে না গিয়ে থাকি এবং এরকম নাটক সাজিয়ে থাকি, তাহলে সোভিয়েতদের তো সেটা ফাঁস করে দেয়ার সক্ষমতা এবং ইচ্ছে দুটিই ছিল।

কিন্ত তারা তো একটি শব্দও বলেনি এনিয়ে। সেটাইতো এর পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
১১ অবতরণ অভিযান ইতিহাস খোঁজ গবেষণা মানুষ যুক্তরাষ্ট্র
Related Posts
স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস

স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস কতটুকু রাখা জরুরি

December 15, 2025
স্মার্টফোন

২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা স্মার্টফোন!

December 15, 2025
wifi

ওয়াইফাই ও হটস্পটের পার্থক্য কী? অনেকেই জানেন না

December 15, 2025
Latest News
স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস

স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস কতটুকু রাখা জরুরি

স্মার্টফোন

২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা স্মার্টফোন!

wifi

ওয়াইফাই ও হটস্পটের পার্থক্য কী? অনেকেই জানেন না

‘গোল্ডেন প্লে বাটন’

‘গোল্ডেন প্লে বাটন’ পাওয়ার পর ইউটিউবারদের মাসিক আয় কত?

Dumbphone VS Smartphone

Dumbphone VS Smartphone: কেন নতুন প্রজন্ম ফিরে যাচ্ছে ফিচার ফোনে?

গ্রিন লাইন

ফোন ডিসপ্লের ‘গ্রিন লাইন’ সমস্যা কেন হয়, ঠিক করার উপায়

Samsung vs iPhone

Samsung vs iPhone: কোন স্মার্টফোন এগিয়ে

মোবাইল ডাটা

কল এলে মোবাইল ডাটা বন্ধ হয়? জানুন সহজ সমাধান

হোয়াটসঅ্যাপ

লুকিয়ে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অন্য কেউ ব্যবহার করছে কিনা জানার উপায়

ChatGPT

চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে মাসে $১০,০০০ আয়: কীভাবে সম্ভব?

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.