পৃথিবীর প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ। চাঁদ নিয়ে আমাদের অনেক জিজ্ঞাসা। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি জানতে পেরেছেন, পৃথিবীর তুলনায় চাঁদে সময় দ্রুত বয়ে চলে। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে এ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন গবেষণায় চাঁদে দ্রুত সময় বয়ে চলার বিষয়টি জানা গেছে। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ টান যেহেতু পৃথিবীর তুলনায় দুর্বল, তাই চাঁদে ঘড়ি দ্রুত টিক টিক করে। ঘড়ি চাঁদে যে গতিতে টিক টিক করে, তা পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ৫৬ মাইক্রোসেকেন্ড বেশি।
বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব অনুযায়ী, একটি আদর্শ ঘড়ির গতি তার অবস্থান ও আপেক্ষিক গতির মহাকর্ষীয় টানের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। যে কারণে পৃথিবী থেকে দূরে থাকা ঘড়ি দ্রুত টিক টিক করে। অভিন্ন গতিতে টিক টিক করা ঘড়ি আদর্শ ঘড়ির চেয়ে ধীরগতিতে চলে। ঘড়ির কাঁটার এমন ভিন্নভাবে ছুটে চলার সমস্যা মোকাবিলার জন্য কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
তাঁদের মতে, পৃথিবী ও চাঁদ মুক্তভাবে অবস্থান করলেও সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব রয়েছে। আর তাই দুটি ভিন্ন মহাকাশীয় বস্তু হিসেবে দুটি স্থানে সময় দুইভাবে ছুটছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী বিজুনাথ পটলা বলেন, ‘আমরা যদি চাঁদে থাকি তবে ঘড়ির কাঁটা পৃথিবীর চেয়ে সেখানে ভিন্নভাবে টিক টিক করবে।’
মানুষের প্রথম চাঁদে অবতরণের ৫০ বছরেরও বেশি সময় পরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা নাসা এখন আর্টেমিস মিশন নিয়ে কাজ করছে। এই মিশনের অংশ হিসেবে মানুষকে আবারও চাঁদে পাঠানো হবে। চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে যোগাযোগ ও নেভিগেশন অবকাঠামো একভাবে চলা গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ নতুন চন্দ্র সময় তৈরির পরিকল্পনা করতে নাসাকে নির্দেশ দিয়েছে। আর্টেমিস মিশনের অংশ হিসেবে চাঁদের পৃষ্ঠের বেশ কিছু অপরিচিত জায়গায় গবেষণা পরিচালনা করবে নাসা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।