জুমবাংলা ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ সার্ভিসের উদ্বোধন করেছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
আজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে তিনি এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন।
এসময় সংসদ সদস্য (এমপি) জিয়াউর রহমান, আবুল হোসেন এমপি, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসক গালিব খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে টানা চতুর্থবারের মতো এ রুটে এই বিশেষ ট্রেন চালু করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের কল্যাণে কম খরচে এই আম পরিবহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩০০ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৬টায়, আর রাজশাহী স্টেশন থেকে ছেড়ে আসবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এবং ঢাকায় এসে পৌঁছাবে রাত সোয়া ১টায়।
কার্গো ট্রেনটি প্রতিদিন আট বা নয়টি ওয়াগনে সর্বোচ্চ পরিমাণ আম পরিবহন করবে। তাই, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামত পণ্য পরিবহন করতে পারবেন।
রাজশাহী থেকে ঢাকায় এক কেজি আম পরিবহন করতে ১ টাকা ১৭ পয়সা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় আনতে ১ টাকা ৩০ পয়সা খরচ পড়বে। অসীম তালুকদার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, বিশেষ ট্রেনে আম পরিবহনে প্রতি টনে খরচ হবে ১ হাজার ১১৭ টাকা, আর কুরিয়ার সার্ভিসে প্রতি টনে খরচ হয় ২০ হাজার টাকা এবং প্রাইভেট ট্রাকে প্রতি টনে খরচ হয় প্রায় ২ হাজার টাকা।
রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা ট্রেনটি ১১টি স্টেশনে আম বোঝাই করার জন্য থামবে। পার্সেল বুকিং ও খালাসের ওপর ভিত্তি করে অন্যান্য স্টেশনে এই পার্সেল ট্রেনটি থামতে পারে।
আম ছাড়াও কম খরচে সব ধরনের সবজি, মৌসুমি ফল, ডিম ও অন্যান্য কৃষিপণ্য এই বিশেষ ট্রেনে পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। রেলওয়ের কুলিরা সব ধরণের পণ্য উঠানো ও নামানোর কাজ পরিচালনা করবে। এই লক্ষ্যে, পণ্য বুকিং থেকে বোঝাই করার পাশাপাশি সঠিকভাবে নামানো পর্যন্ত কুলিরা কীভাবে কাজ করবে সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
চাষীদের পরিবহন সমস্যা কথা বিবেচনায় নিয়ে ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো চালু হয় এই ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’। তালুকদার আরও বলেন, ‘আমরা ৮৫৭ টন আম, লিচু এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য পরিবহন করে ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছি।’
কর্মকর্তারা জানান, রাজশাহীতে ২৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবছর ২ লাখ ৪৪ হাজার টন আম ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নওগাঁয় ১২ হাজার ৬৭১ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে, তবে এই জেলায় ১ লাখ ৬১ হাজার ২৪২ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং নাটোর জেলায় ৪ হাজার ৮২৩ হেক্টর জমিতে ৫৬ হাজার ২১ টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।