Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না: ভুল উত্তর দিলেই ধ্বসে যাবে স্বপ্নের ভিত!
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না: ভুল উত্তর দিলেই ধ্বসে যাবে স্বপ্নের ভিত!

    লাইফস্টাইল ডেস্কTarek HasanJuly 7, 202515 Mins Read
    Advertisement

    দশ মিনিট। মাত্র দশ মিনিট। কখনও কখনও জীবনের দিক পরিবর্তনের জন্য, স্বপ্নের ক্যারিয়ারের দরজা খুলে দেওয়ার জন্য এইটুকু সময়ই যথেষ্ট। আর সেই দশ মিনিটের ভুলভাল কথাবার্তাই আবার সেই দরজা চিরতরে বন্ধ করে দিতে পারে, নাকচ হয়ে যেতে পারে মাসের পর মাসের কষ্টার্জিত প্রস্তুতি। চাকরির ইন্টারভিউ – এই শব্দজোড়ার সামনে এসেই বুকের ভেতরটা দুরুদুরু করে ওঠে প্রায় প্রতিটি প্রার্থীর। সাজগোজ, প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস – সবই থাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে। কিন্তু জানেন কি? চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না সেই জ্ঞানটাই প্রায়শই হয়ে ওঠে সফলতা আর ব্যর্থতার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়কারী মূল সূত্র। ভুল উত্তরের বিষাক্ত ছোবল কতটা মারাত্মক হতে পারে, তা অনেকেই টের পান যখন হতাশার সেই ইমেলটি বা ফোনকলটি আসে – “আপনার অভিজ্ঞতা চমৎকার, কিন্তু আমরা অন্য একজন প্রার্থীকে বেছে নিলাম।” কেন? কারণ অজান্তেই হয়তো আপনি ফেলে এসেছেন এমন কিছু শব্দের ফাঁদ, যা ইন্টারভিউয়ারকে আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দিয়েছে। আপনার যোগ্যতা নয়, বরং চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না সেই সচেতনতাই আজকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

    চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না

    অতীতের গ্লানি: পূর্ববর্তী চাকরি বা বসের সমালোচনা
    এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় ও বিপজ্জনক ফাঁদগুলোর একটি। ইন্টারভিউয়ার যখন জিজ্ঞেস করেন, “আপনি কেন পূর্ববর্তী চাকরি ছেড়ে দিতে চান?” বা “আপনার পূর্ববর্তী বস সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?” – এই মুহূর্তটিতে আপনার জবান থেকে যেন কোনোমতেই বের না হয়:

    • “আমার বস একেবারেই বোঝেন না, তার কোনও ম্যানেজমেন্ট স্কিল নেই।” – এ ধরনের সরাসরি সমালোচনা আপনাকে ‘অপেশাদার’ ও ‘অসহনশীল’ হিসেবে চিহ্নিত করবে। ইন্টারভিউয়ার ভাববেন, এখানেও একই আচরণ করবেন আপনি।
    • “সেখানে কাজের পরিবেশ একদমই ভয়াবহ, সহকর্মীরা সহযোগিতা করে না।” – এই উত্তরটি আপনার দলগতভাবে কাজ করার অক্ষমতা বা নেতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়। মনে রাখবেন, কোনও প্রতিষ্ঠানই ‘টক্সিক’ ব্যক্তিত্ব চায় না।
    • “ওরা আমাকে প্রমোটই দিল না, অথচ আমি সব কাজ করতাম!” – অভিযোগ ও হতাশার এই সুর আপনার পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং ভবিষ্যতেও একই ধরনের মনোভাব দেখানোর আশঙ্কা তৈরি করে।

    তাহলে কী বলবেন?

    • ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি: “আমি পূর্ববর্তী চাকরিতে অনেক মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, বিশেষ করে [নির্দিষ্ট স্কিলের নাম উল্লেখ করুন] ক্ষেত্রে। তবে এখন আমি এমন একটি চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা খুঁজছি যেখানে আমি [নতুন চাকরির সাথে প্রাসঙ্গিক নতুন দক্ষতা/দায়িত্ব] প্রয়োগ করতে পারি এবং আরও অবদান রাখতে পারি।”
    • ক্যারিয়ার বৃদ্ধির কথা: “আমার ক্যারিয়ারের পরবর্তী ধাপে আমি [নতুন চাকরির সাথে সম্পর্কিত বিশেষ ক্ষেত্র] নিয়ে গভীরভাবে কাজ করতে চাই, যা আমার পূর্ববর্তী ভূমিকায় সীমিত সুযোগ ছিল। আমি মনে করি এই পদটি সেই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আদর্শ।”
    • যদি সত্যিই সমস্যা থাকে: পরিস্থিতিকে ইতিবাচকভাবে ফ্রেম করুন। “প্রতিষ্ঠানটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রি-অর্গানাইজেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, এবং আমার বর্তমান ভূমিকাটি পরিবর্তিত হচ্ছিল। আমি এমন একটি স্থিতিশীল পরিবেশ খুঁজছি যেখানে আমি দীর্ঘমেয়াদী অবদান রাখতে পারি এবং [আপনার শক্তি] কে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারি।” কীওয়ার্ড: চাকরি ছাড়ার কারণ, পেশাদার উত্তর, পূর্ববর্তী চাকরি সমালোচনা না করা, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।

    “আমি জানি না” বা সম্পূর্ণ অস্বীকার: জ্ঞানের ঘাটতি স্বীকারের ভুল পদ্ধতি
    “এই সফটওয়্যারটি সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?” বা “এই মার্কেটিং কৌশলটি নিয়ে আপনার ধারণা আছে?” – এমন প্রশ্নের সামনে পড়ে অনেক প্রার্থী আতঙ্কিত হয়ে সরাসরি বলে বসেন, “না, আমি এটা জানি না” বা “আমার এই বিষয়ে কোনও অভিজ্ঞতা নেই।” এটি মারাত্মক ভুল। এটি ইন্টারভিউয়ারকে আপনার শেখার আগ্রহ বা সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা নিয়ে সংশয় তৈরি করে। এটাও মনে রাখবেন, চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না – তার মধ্যে সরাসরি অস্বীকার করা একটি বড় আইটেম।

    তাহলে কী বলবেন?

    • সততা ও শেখার ইচ্ছা: “এই সফটওয়্যারটির সাথে আমার সরাসরি কাজ করার অভিজ্ঞতা এখনও তৈরি হয়নি। তবে, আমি এ ধরনের [সফটওয়্যার ক্যাটাগরি, যেমন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুলস] ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি এবং আমি এটির বেসিক ফিচারগুলোর সাথে পরিচিত। আমি দ্রুত শিখতে পারি এবং এই ভূমিকার জন্য প্রয়োজনীয় হলে আমি এটি শিখতে আগ্রহী ও প্রস্তুত।”
    • সম্পর্কিত জ্ঞান: “আমি সরাসরি এই কৌশলটি প্রয়োগ করিনি, তবে আমি [সম্পর্কিত কৌশল/তত্ত্ব]-এর সাথে পরিচিত এবং এর নীতিগুলো বুঝি। আমি বিশ্বাস করি সেই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এবং প্রয়োজনীয় রিসার্চ করে আমি এই ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে অবদান রাখতে পারব।”
    • প্রশ্ন করুন: “আমি এই বিষয়টি নিয়ে এখনও গভীরভাবে কাজ করার সুযোগ পাইনি। তবে, আমি জানি এটি [ক্ষেত্রের নাম]-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কি এই ভূমিকায় এটির ব্যবহার বা প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে কিছু বলবেন? আমি শিখতে আগ্রহী।” কীওয়ার্ড: শেখার আগ্রহ দেখানো, অভিজ্ঞতার ঘাটতি মোকাবিলা, ইতিবাচক উপায়ে অসুবিধা স্বীকার, দক্ষতার ফাঁক পূরণ।

    আত্মবিশ্বাসের নামে অহংকার: অতিরিক্ত দাবি ও অতিরঞ্জন

    “আমি সব পারি!” – অবাস্তব দাবি ও অতিরঞ্জিত দক্ষতা
    ইন্টারভিউতে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা তুলে ধরা জরুরি, কিন্তু সেটা যেন অহংকারের সীমা অতিক্রম না করে। বলবেন না:

    • “এই কাজটা তো খুবই সহজ, আমি চোখ বন্ধ করে করে ফেলতে পারি।” – এটি কাজটির জটিলতা ও গুরুত্বকে খাটো করা এবং আপনার আত্মবিশ্বাসের বদলে দাম্ভিকতা প্রকাশ করে। ইন্টারভিউয়ার ভাবতে পারেন আপনি অভিজ্ঞতা বা চ্যালেঞ্জের মূল্য বুঝতে পারছেন না।
    • “আমার মতোন পারফেক্ট ক্যান্ডিডেট আপনি আর পাবেন না।” – এই ধরনের সরাসরি দাবি হাস্যকর ও অগ্রহণযোগ্য শোনায়। এটি টিমওয়ার্কের মনোভাবের সম্পূর্ণ বিপরীত।
    • অতিরঞ্জিত সাফল্য: “আমি একাই পুরো ডিপার্টমেন্টের পারফরম্যান্স ৩০০% বাড়িয়ে দিয়েছি!” – অবাস্তব সংখ্যা বা অবিশ্বাস্য সাফল্যের গল্প ইন্টারভিউয়ারকে সন্দিহান করে তোলে। আপনার দাবি যাচাইযোগ্য ও বাস্তবসম্মত হতে হবে। মনে রাখবেন, চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না – তার মধ্যে এই অতিরঞ্জন ধরা পড়বেই।

    তাহলে কী বলবেন?

    • নির্দিষ্ট উদাহরণ ও পরিমাপযোগ্য ফলাফল: “আমার নেতৃত্বে [নির্দিষ্ট প্রকল্পের নাম] টিম সফলভাবে শেষ করেছি, যা [নির্দিষ্ট পরিমাপযোগ্য ফলাফল, যেমন গ্রাহক সন্তুষ্টি ১৫% বৃদ্ধি, সময়সীমার ১০ দিন আগে ডেলিভারি] এনেছে। এই সাফল্যের পেছনে [আপনার ভূমিকা ও প্রয়োগকৃত দক্ষতা]-এর ভূমিকা ছিল।”
    • আত্মবিশ্বাসের সাথে যোগ্যতা: “এই পদটির জন্য প্রয়োজনীয় [প্রধান ২-৩টি দক্ষতার নাম] ক্ষেত্রে আমার শক্তিশালী অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি [প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা] থেকে নিশ্চিত যে আমি এই ভূমিকার চাহিদা পূরণ করতে এবং দ্রুত অবদান রাখতে সক্ষম হব।”
    • চ্যালেঞ্জ স্বীকার: “এটি নিঃসন্দেহে একটি চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা, বিশেষত [নির্দিষ্ট দিক]। তবে, আমার পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা [সম্পর্কিত উদাহরণ] আমাকে এই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করেছে এবং আমি এগিয়ে যেতে আগ্রহী।” কীওয়ার্ড: বাস্তবসম্মত দাবি, পরিমাপযোগ্য সাফল্য, আত্মবিশ্বাস বনাম অহংকার, নির্দিষ্ট উদাহরণ।

    বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও সময় নিয়ে অপরিণত দাবি
    ইন্টারভিউয়ারের পক্ষ থেকে সরাসরি না জিজ্ঞাসা করা পর্যন্ত বেতন, ছুটি, ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা নির্দিষ্ট সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা শুরু করা একেবারেই এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ইন্টারভিউয়ারের প্রথম দিকের প্রশ্নের জবাবে এগুলো উত্থাপন করা ভয়ানক ভুল। বলবেন না:

    • “প্রথমেই জানতে চাই, বেতন কত দেবেন? এবং সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন রিমোট কাজ করতে হবে।” – এটি দেখায় যে আপনি শুধুমাত্র অর্থ ও আরামের কথা ভাবছেন, কাজ বা প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখার আগ্রহ নয়। চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না – তার শীর্ষে রয়েছে অপরিণত বেতন দাবি।
    • “আমার প্রচুর পার্সোনাল কমিটমেন্ট আছে, তাই মাঝে মাঝে অফিসে আসতে দেরি হবে বা একটু আগে চলে যেতে হবে।” – এটি আপনার পেশাদারিত্ব ও প্রতিশ্রুতিকে নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। প্রতিষ্ঠান একজন নির্ভরযোগ্য কর্মী চায়।
    • “এক বছরের মধ্যে প্রমোশন আশা করব।” – খুব তাড়াতাড়ি প্রমোশনের দাবি করা অহংকারী ও বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মনে হতে পারে। প্রতিষ্ঠান দেখতে চায় আপনি প্রথমে ভূমিকায় নিজেকে প্রমাণ করবেন কিনা।

    তাহলে কী বলবেন?

    • ফোকাস রাখুন ভূমিকা ও অবদানে: প্রথম ও মধ্য পর্যায়ের ইন্টারভিউতে আলোচনা কেন্দ্রীভূত রাখুন পদটির দায়িত্ব, আপনি কীভাবে যোগ্য এবং প্রতিষ্ঠানে কী অবদান রাখতে পারবেন – সেই দিকে।
    • যদি বেতন নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়: “আমি এই ভূমিকা এবং আমার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে বাজারের প্রতিযোগিতামূলক বেতনের প্রত্যাশা করি। আমি নিশ্চিত যে আমরা পারস্পরিক সন্তুষ্টির ভিত্তিতে একটি ন্যায্য অংকে পৌঁছাতে পারব, যদি আমি এই ভূমিকার জন্য উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হই।”
    • সুবিধা নিয়ে আলোচনা: সাধারণত চাকরি অফার পর্যায়ে বা তার পরে এ নিয়ে আলোচনা হয়। ইন্টারভিউতে জিজ্ঞাসা করা হলে বলুন, “আমি প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত নীতিগুলো দেখে নেব এবং সেটা বিবেচনায় রাখব।” আপনার অগ্রাধিকার যদি রিমোট ওয়ার্ক হয়, তাও ভদ্রভাবে পরে জানান। কীওয়ার্ড: বেতন আলোচনার সময়, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ভুল বলা, পেশাদারিত্ব বজায় রাখা, চাকরির চাহিদা ফোকাস।

    নেতিবাচকতা, অপ্রস্তুতি ও সাধারণ ভুল: যে বিষয়গুলো ইন্টারভিউকে ধ্বংস করে দেয়

    “আমার দুর্বলতা? অনেক বেশি পারফেকশনিস্ট!” – ফাঁকা ও অসত্‌ উত্তর
    “আপনার দুর্বল দিকগুলি কী?” – এই ভয়াবহ প্রশ্নটির উত্তরে প্রায়শই শোনা যায় ক্লিশে ও অসত্‌ উত্তর:

    • “আমি পারফেকশনিস্ট, তাই কাজ শেষ করতে একটু বেশি সময় লাগে।” – এটি আসলে দুর্বলতা নয়, বরং শক্তিকে দুর্বলতা হিসেবে চালানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা বলে ধরা পড়ে। ইন্টারভিউয়াররা এই উত্তর শুনে ক্লান্ত।
    • “আমার কোনও দুর্বলতা নেই।” – এটি সম্পূর্ণ অবাস্তব এবং আপনার আত্ম-সচেতনতার অভাব দেখায়। প্রত্যেক মানুষেরই উন্নতির জায়গা আছে।
    • সত্যিকারের মারাত্মক দুর্বলতা: “আমার টাইম ম্যানেজমেন্ট একদমই খারাপ” বা “আমি সহকর্মীদের সাথে সহযোগিতা করতে পছন্দ করি না” – এই ধরনের সত্‌ কিন্তু চাকরি ধ্বংসকারী উত্তর দেবেন না।

    তাহলে কী বলবেন?

    • সত্যিকারের উন্নতির জায়গা: একটি সত্যিকারের, কিন্তু ভূমিকার জন্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, এমন দুর্বলতা বেছে নিন।
    • সংশোধনের প্রচেষ্টা: সেই দুর্বলতা কীভাবে শনাক্ত করেছেন এবং কীভাবে উন্নতি করছেন তা বলুন।
    • উদাহরণ: “আমার একটি দুর্বলতা হলো, আমি মাঝে মাঝে একটি প্রকল্পে এতটাই ডুবে যাই যে বৃহত্তর ছবিটা দেখতে ভুলে যাই। আমি এটি বুঝতে পেরে এখন বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট টাস্কে ভাগ করি এবং নিয়মিতভাবে সামগ্রিক অগ্রগতি রিভিউ করি। এছাড়াও, আমি সহকর্মী বা সুপারভাইজারের কাছ থেকে সময়ে সময়ে ফিডব্যাক নিই যাতে আমি সঠিক পথে আছি কিনা।” কীওয়ার্ড: দুর্বলতার সঠিক উত্তর, আত্ম-সচেতনতা, উন্নতির পরিকল্পনা, ক্লিশে উত্তর এড়ানো।

    “এই চাকরির জন্য আমি কেন যোগ্য? কারণ আমাকে দরকার!” – অপ্রস্তুত ও আত্মকেন্দ্রিকতা
    ইন্টারভিউয়ে যাওয়ার মানেই শুধু সিভি জমা দেওয়া নয়। প্রতিষ্ঠান, এর সংস্কৃতি, সাম্প্রতিক অর্জন, এবং বিশেষ করে আপনি যে পদটির জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, তার বিস্তারিত বোঝাপড়া না থাকাটা মারাত্মক অপমানজনক। বলবেন না:

    • “আসলে আমি এই পদটির বিস্তারিত দায়িত্ব জানি না, তবে আমি শিখে নেব।” – এটি আপনার আগ্রহ ও প্রস্তুতির মারাত্মক অভাব দেখায়। চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না – তার মধ্যে এটি খুবই সাধারণ এবং ক্ষতিকর।
    • “আমার সত্যিই একটা চাকরি দরকার, তাই এখানে এসেছি।” – এই উত্তরটি সম্পূর্ণ আত্মকেন্দ্রিক এবং প্রতিষ্ঠানের চাহিদা বা আপনার যোগ্যতার সাথে সম্পর্কিত নয়। প্রতিষ্ঠান আপনার প্রয়োজন নয়, বরং তার প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম কাউকে খুঁজছে।
    • “আপনাদের কোম্পানি কী করে, সেটা তেমন জানি না।” – এটি ইন্টারভিউয়ারের জন্য রেড ফ্ল্যাগ। আপনি কেন এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চান, যদি আপনি তাদের সম্পর্কেই জানেন না?

    তাহলে কী বলবেন?

    • গভীর গবেষণা: ইন্টারভিউয়ের আগেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট (বিশেষ করে ‘আমাদের সম্পর্কে’, ‘ক্যারিয়ার’, ‘নিউজরুম’ সেকশন), সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল (লিংকডইন, ফেসবুক), এবং সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক খবর, মিশন, ভ্যালু এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
    • পদের দায়িত্ব বোঝা: চাকরির পোস্টিংটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কোন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা চাওয়া হচ্ছে, তা বুঝুন।
    • কীভাবে অবদান রাখবেন: “আমি দেখেছি আপনার প্রতিষ্ঠান [প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক প্রকল্প/সাফল্য/মূল্যবোধের উল্লেখ] নিয়ে কাজ করছে, যা আমার কাছে খুবই প্রাসঙ্গিক ও অনুপ্রেরণাদায়ক মনে হয়েছে। এই [পদটির নাম] ভূমিকায় আমার [আপনার প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা] কাজে লাগিয়ে আমি বিশেষভাবে [নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অবদান, যেমন প্রক্রিয়া উন্নয়ন, বিক্রি বৃদ্ধি] করতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি আপনার টিমে যোগ দিয়ে এর সাফল্যে অবদান রাখতে আগ্রহী।” কীওয়ার্ড: ইন্টারভিউ প্রস্তুতি, কোম্পানি গবেষণা, ভূমিকা বোঝা, অবদান দেখানো, আগ্রহ প্রকাশ।

    অপ্রাসঙ্গিক তথ্য, অতিরিক্ত কথা ও ব্যক্তিগত সমস্যা
    ইন্টারভিউ একটি পেশাদার প্রক্রিয়া। অপ্রাসঙ্গিক, অতিরিক্ত দীর্ঘ বা ব্যক্তিগত সমস্যার বর্ণনা আপনার সিরিয়াসনেসকে নষ্ট করে দেবে। বলবেন না:

    • দীর্ঘ, অপ্রাসঙ্গিক গল্প: প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে জীবন কাহিনী বলা শুরু করে দেওয়া। ইন্টারভিউয়ারের মূল্যবান সময় নষ্ট হয় এবং আপনার যোগাযোগ দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
    • ব্যক্তিগত সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ: “আমার স্বাস্থ্য খুব খারাপ,” “আমার পারিবারিক অবস্থা ভালো নয়,” “আমার আর্থিক সমস্যা আছে” – এই ধরনের তথ্য ইন্টারভিউয়ারকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে এবং আপনার পেশাদার সীমা লঙ্ঘন করতে পারে। এগুলো চাকরির সাথে সরাসরি প্রাসঙ্গিক নয় (অবশ্যই, যদি স্বাস্থ্যগত কারণ বিশেষ সুবিধার দাবির জন্য প্রাসঙ্গিক হয়, তবে পেশাদার উপায়ে উত্থাপন করুন)।
    • “আমি আসলে অন্য ধরনের চাকরি খুঁজছিলাম, কিন্তু…” – এটি আপনার আগ্রহের অভাব ও হতাশা প্রকাশ করে।

    তাহলে কী করবেন?

    • সংক্ষিপ্ত ও প্রাসঙ্গিক উত্তর: প্রশ্নের উত্তর সরাসরি, পরিষ্কার ও প্রাসঙ্গিক রাখুন। উদাহরণ দিতে গেলেও তা সংক্ষিপ্ত ও পয়েন্টে পয়েন্টে রাখুন (STAR পদ্ধতি: Situation, Task, Action, Result)।
    • পেশাদার সীমা রক্ষা: আলোচনা কেন্দ্রীভূত রাখুন আপনার পেশাদার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং প্রতিষ্ঠান ও পদটির সাথে তার প্রাসঙ্গিকতায়।
    • ইতিবাচকতা: ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জের কথা বলতে হলে, সেটা কীভাবে আপনি ইতিবাচকভাবে মোকাবিলা করেছেন বা পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছেন, সেদিকে ফোকাস করুন (যদি একেবারেই বলতেই হয়)। কীওয়ার্ড: প্রাসঙ্গিক উত্তর, সংক্ষিপ্ত ও কার্যকর যোগাযোগ, পেশাদার সীমা, অপ্রয়োজনীয় তথ্য এড়ানো।

    ইন্টারভিউয়ারকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা: সুযোগ নাকি বিপদ?

    ইন্টারভিউয়ারের সাধারণত শেষ প্রশ্ন থাকে: “আপনার কি আমাদের কোন প্রশ্ন আছে?” এই সুযোগটি সোনার সুযোগ, কিন্তু একইসাথে বিপদ ডেকে আনতে পারে যদি ভুল প্রশ্ন করেন। বলবেন না:

    • “আমার কতদিনের মধ্যে প্রমোশন পাব?” – আগেই আলোচিত, অপরিণত।
    • “আপনারা কত বার বার্ষিক ছুটি দেন? আর কি সাপ্তাহিক ছুটি পাব?” – শুধু ছুটি ও সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন করলে আপনার কাজের আগ্রহ নিয়ে সংশয় তৈরি হবে।
    • “কোন প্রশ্ন নেই, সবকিছু পরিষ্কার।” – এটি আপনার আগ্রহের অভাব, গবেষণার অভাব বা ভাবনার অভাব প্রকাশ করে। চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না – তার সাথে জড়িত এই নীরবতাও ক্ষতিকর।

    তাহলে কী জিজ্ঞাসা করবেন?

    • পদ ও দলের সম্পর্কে গভীর প্রশ্ন: “এই ভূমিকায় যোগদানের পর প্রথম ৩-৬ মাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাধান্য কোন দিকগুলোতে দিতে হবে?” “আমার যে টিমের সাথে কাজ করব, তাদের বর্তমান প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো কী কী? আমি কীভাবে সহযোগিতা করতে পারি?”
    • সংস্কৃতি ও উন্নয়ন: “প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতিতে আপনি কোন দিকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা অনন্য মনে করেন?” “কর্মীদের পেশাদার বিকাশ ও শেখার জন্য প্রতিষ্ঠান কী ধরনের সুযোগ বা সংস্থান প্রদান করে?”
    • প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ: “এই ডিপার্টমেন্ট/টিমের জন্য সামনের বছরের প্রধান লক্ষ্য বা অগ্রাধিকারগুলো কী?” “প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে [প্রাসঙ্গিক শিল্প প্রবণতা] নিয়ে কীভাবে এগোচ্ছে?”
    • ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া: “পরবর্তী ধাপগুলি কী কী এবং কখন পর্যন্ত আমি ফিডব্যাক আশা করতে পারি?” কীওয়ার্ড: ইন্টারভিউয়ারকে সঠিক প্রশ্ন, দল ও ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা, সংস্কৃতি বোঝা, আগ্রহ দেখানো।

    বিশেষ প্রেক্ষাপট: ফ্রেশার, এক্সপেরিয়েন্সড ও টেকনিক্যাল ইন্টারভিউ

    ফ্রেশারদের জন্য: অভিজ্ঞতার অভাব মোকাবিলা
    ফ্রেশারদের জন্য চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না – তার মৌলিক নীতিগুলো একই, তবে কিছু বিশেষ দিক:

    • এড়িয়ে চলুন: “আমার তো কোনও অভিজ্ঞতাই নেই, কিন্তু আমি শিখব।” (শেখার আগ্রহ দেখান, কিন্তু এইভাবে নয়)।
    • কী বলবেন: একাডেমিক প্রজেক্ট, ইন্টার্নশিপ, ভলান্টিয়ার কাজ, কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির উদাহরণ দিয়ে আপনার স্কিল (টিমওয়ার্ক, লিডারশিপ, সমস্যা সমাধান, কমিউনিকেশন) প্রদর্শন করুন। শেখার প্রতি প্রবল আগ্রহ ও প্রতিষ্ঠানের সাথে বেড়ে ওঠার ইচ্ছা প্রকাশ করুন। “আমার একাডেমিক প্রজেক্টে [নির্দিষ্ট প্রজেক্ট], যেখানে আমি [দায়িত্ব] পালন করেছি এবং [নির্দিষ্ট ফলাফল] অর্জন করেছি, তা আমাকে এই ভূমিকার জন্য প্রয়োজনীয় [দক্ষতা] এর সাথে পরিচিত করেছে। আমি দ্রুত শিখতে পারি এবং বাস্তব কাজে এই জ্ঞান প্রয়োগ করতে আগ্রহী।”

    এক্সপেরিয়েন্সড প্রফেশনালদের জন্য: ক্যারিয়ার গ্যাপ ও চাকরি পরিবর্তনের ফ্রিকোয়েন্সি

    • এড়িয়ে চলুন: ক্যারিয়ার গ্যাপকে অস্বীকার করা বা অযৌক্তিক কারণ দর্শানো। চাকরি পরিবর্তনের কারণ হিসেবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান বা বসকে দোষারোপ করা।
    • কী বলবেন: ক্যারিয়ার গ্যাপ থাকলে (পারিবারিক কারণ, স্বাস্থ্য, উচ্চশিক্ষা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি) সৎ ও সংক্ষিপ্তভাবে বলুন এবং সেই সময়ে আপনি কী শিখেছেন বা কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন, তা উল্লেখ করুন। চাকরি পরিবর্তনের কারণ ইতিবাচক ও পেশাদার ভাবে ব্যাখ্যা করুন (ক্যারিয়ার বৃদ্ধি, নতুন চ্যালেঞ্জ, প্রতিষ্ঠানের দিক পরিবর্তন ইত্যাদি)।

    টেকনিক্যাল ইন্টারভিউ: “আমি জানি না” এর সঠিক ব্যবহার
    টেকনিক্যাল ইন্টারভিউতে সরাসরি উত্তর না জানা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু বলবেন না শুধু “আমি জানি না।”

    • কী বলবেন: “আমি এই কনসেপ্টটি সম্পর্কে এখনও পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নই, তবে আমার ধারণা এটি [আপনার বর্তমান বোঝাপড়া]। আমি এটি সম্পর্কে আরও শিখতে আগ্রহী।” বা “আমি এই সমস্যা সমাধানের একটি সম্ভাব্য পদ্ধতি হতে পারে [আপনার চিন্তাভাবনার প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন]।” আপনার চিন্তা করার পদ্ধতি ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতাই এখানে মূল্যবান। কীওয়ার্ড: ফ্রেশার ইন্টারভিউ, অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি, ক্যারিয়ার গ্যাপ ব্যাখ্যা, চাকরি পরিবর্তনের কারণ, টেকনিক্যাল ইন্টারভিউ টিপস।

    Honor 200 Pro বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    জেনে রাখুন-

    • প্রশ্ন: ইন্টারভিউতে বেতন নিয়ে কখন এবং কীভাবে আলোচনা করা উচিত?
      উত্তর: ইন্টারভিউয়ার সাধারণত প্রথম বা দ্বিতীয় ইন্টারভিউতে বেতনের বিষয়টি উত্থাপন করবেন। তার আগে নিজে থেকে উত্থাপন না করাই ভালো। যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, বাজারে আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে প্রত্যাশিত বেতনের একটি রেঞ্জ বলুন (গবেষণা করে নিন আগে)। খুব শক্ত বা অনমনীয় হবেন না। বলতে পারেন: “আমি এই ভূমিকা এবং আমার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে [X] থেকে [Y] রেঞ্জে বেতন প্রত্যাশা করি। তবে, সামগ্রিক প্যাকেজ ও সুযোগের ভিত্তিতে আমি আলোচনার জন্য খোলা আছি।”
    • প্রশ্ন: ইন্টারভিউতে যদি প্রশ্নের উত্তর না জানি, তখন কী করব?
      উত্তর: ঘাবড়াবেন না। সৎ হোন। বলুন: “এই নির্দিষ্ট বিষয়টি সম্পর্কে আমার এখনও গভীর ধারণা নেই, তবে আমার সম্পর্কিত জ্ঞান [সম্পর্কিত ক্ষেত্র উল্লেখ করুন] রয়েছে। আমি এই বিষয়ে শিখতে আগ্রহী।” বা “আমার এখনই সঠিক উত্তর জানা নেই, তবে আমার ধারণা এটি [আপনার যুক্তি] এর সাথে জড়িত। আমি পরে এটা নিয়ে জানব।” চিন্তা করার পদ্ধতি দেখানোর চেষ্টা করুন (যদি সম্ভব হয়)।
    • প্রশ্ন: পূর্ববর্তী চাকরি থেকে কেন ছেড়ে এসেছি – এর সেরা উত্তর কী?
      উত্তর: সর্বদা ইতিবাচক ও ভবিষ্যৎমুখী উত্তর দিন। ক্যারিয়ার বৃদ্ধির সুযোগ, নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার আগ্রহ, আপনার দক্ষতা ও আগ্রহের সাথে নতুন ভূমিকার মিল – এসবের উপর ফোকাস করুন। যেমন: “আমি পূর্ববর্তী চাকরিতে অনেক শিখেছি, কিন্তু এখন এমন একটি ভূমিকা খুঁজছিলাম যেখানে আমি [আপনার কাঙ্খিত স্কিল/দায়িত্ব] নিয়ে আরও গভীরভাবে কাজ করতে পারি এবং [নতুন প্রতিষ্ঠানে আপনার লক্ষ্য] এ অবদান রাখতে পারি।”
    • প্রশ্ন: ইন্টারভিউ শেষে ইন্টারভিউয়ারকে ধন্যবাদ মেইল বা মেসেজ দেওয়া উচিত কি?
      উত্তর: হ্যাঁ, এটি একটি ভালো পেশাদার অভ্যাস। ইন্টারভিউয়ের ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত, পেশাদার ধন্যবাদ ইমেইল পাঠান। ইন্টারভিউয়ে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান, ভূমিকাটিতে আপনার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করুন, এবং সংক্ষেপে কেন আপনি ভালো ফিট হবেন তা উল্লেখ করুন (১-২ লাইন)। খুব লম্বা করবেন না বা নতুন তথ্য যোগ করবেন না। কীওয়ার্ড: ধন্যবাদ ইমেইল, পেশাদার অনুসরণ।
    • প্রশ্ন: ইন্টারভিউতে কী ধরনের পোশাক পরা উচিত?
      উত্তর: প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতির উপর নির্ভর করে, তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাধারণত ফরমাল বা বিজনেস ফরমাল পোশাক নিরাপদ পছন্দ (প্যান্ট-শার্ট বা ফরমাল শাড়ি/স্যুট/কামিজ)। খুব রঙচঙে বা বাহারি পোশাক, অতিরিক্ত গহনা এড়িয়ে চলুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ইস্ত্রি করা পোশাক পরুন। প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা থাকলে (যেমন স্টার্টআপ হলে স্মার্ট ক্যাজুয়ালও চলতে পারে), তদনুসারে ড্রেস করুন। কীওয়ার্ড: ইন্টারভিউ ড্রেস কোড, পেশাদার পোশাক।
    • প্রশ্ন: অনলাইন ইন্টারভিউয়ের সময় বিশেষ কোন বিষয় খেয়াল রাখা উচিত?
      উত্তর: পরিবেশ: শান্ত, ঝকঝকে, পেশাদার দেখায় এমন জায়গা বেছে নিন। পেছনে বিশৃঙ্খলা বা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রাখবেন না। টেকনোলজি: ইন্টারনেট সংযোগ, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, ব্যাটারি আগে থেকেই চেক করুন। প্রয়োজনে হেডফোন ব্যবহার করুন। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ: ক্যামেরার দিকে তাকান, পোজ দৃঢ় রাখুন। মোবাইল ফোন সাইলেন্টে রাখুন। প্রস্তুতি: ডকুমেন্টস (সিভি, পোর্টফোলিও) খোলা রাখুন, কিন্তু নোটের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হবেন না। কীওয়ার্ড: ভার্চুয়াল ইন্টারভিউ টিপস, অনলাইন ইন্টারভিউ প্রস্তুতি।

    চাকরির ইন্টারভিউ শুধু দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা নয়, সেটি একটি কৌশলপূর্ণ যোগাযোগের নৃত্য, যেখানে একটি অসতর্ক শব্দ বা একটি ভুল অভিব্যক্তি আপনার মাসের পর মাসের পরিশ্রমকে ম্লান করে দিতে পারে। আপনি যতই যোগ্য হোন না কেন, চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না সেই সচেতনতার অভাবই আপনাকে প্রতিযোগিতার মাঠ থেকে ছিটকে দিতে পারে। এই আলোচনায় আমরা দেখলাম কীভাবে পূর্ববর্তী চাকরি বা বসের সমালোচনা, সরাসরি “জানি না” বলা, অতিরঞ্জিত দাবি, অপরিণত বেতন বা সুবিধার দাবি, ক্লিশে দুর্বলতার উত্তর, অপ্রস্তুতি, অপ্রাসঙ্গিক তথ্য এবং ভুল ধরনের প্রশ্ন – এই বিষয়গুলো আপনার সম্ভাবনাকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারে। সফলতার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে সততা, ইতিবাচকতা, পেশাদারিত্ব, গভীর প্রস্তুতি এবং প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর যোগাযোগের মধ্যে। আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কীভাবে এমনভাবে উপস্থাপন করা যায় যাতে তা প্রতিষ্ঠানের চাহিদার সাথে খাপ খায়, সেটিই হল আসল শিল্প। তাই, পরবর্তী ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন: আমি কি চাকরির ইন্টারভিউতে কী বলবেন না সেই মারাত্মক ভুলগুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন? আমি কি আমার উত্তরগুলোকে ইতিবাচক, প্রাসঙ্গিক ও পেশাদারিত্বে পরিপূর্ণ করে গড়ে তুলতে প্রস্তুত? মনে রাখবেন, ওই দশ বা বিশ মিনিট আপনার ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পারে – তাই, প্রতিটি শব্দ হোক সুচিন্তিত, প্রতিটি উত্তর হোক আপনার যোগ্যতার উজ্জ্বল প্রদীপ। ভুল উত্তরের ফাঁদ এড়িয়ে, সঠিক কথার মাধ্যমেই আলোকিত করুন আপনার ক্যারিয়ারের পথ। আজই আপনার ইন্টারভিউ স্ক্রিপ্ট রিভিউ করুন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে সেই স্বপ্নের চাকরিটি জয় করুন!

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Bangladesh jobs career advice interview mistakes interview questions job interview job search tips what not to say in interview ইন্টারভিউ টিপস ইন্টারভিউ প্রস্তুতি ইন্টারভিউতে ইন্টারভিউতে কী বলবেন না উত্তর এড়ানো কী? কৌশল ক্যারিয়ার টিপস চাকরি ইন্টারভিউ ভুল চাকরি খোঁজা চাকরির চাকরির ইন্টারভিউ জীবন টিপস দিলেই ধ্বংসে না পেশাদার ইন্টারভিউ প্রশ্ন প্রস্তুতি বলবেন বাংলাদেশ চাকরি বিজ্ঞপ্তি, ভিত ভুল ভুল উত্তর যাবে লাইফস্টাইল সুযোগ স্বপ্নের
    Related Posts
    শিশুদের আত্মনির্ভরতা শেখানোর কৌশল

    শিশুদের আত্মনির্ভরতা শেখানোর কৌশল: ভবিষ্যতের ভিত মজবুত করার অপরিহার্য পাঠ

    July 7, 2025
    kathal

    ২০০ বছরের পুরনো কাঁঠাল গাছে আজও প্রতি বছরে কয়েকশো ফল ধরে

    July 7, 2025
    ইন্টারভিউতে-পরীক্ষা

    মেয়েদের শরীরের কোন অঙ্গ টিপলে বড় হয়ে যায়

    July 7, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Samsung Galaxy S23 Ultra

    Samsung Galaxy S23 Ultra: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    ওয়ালটনের কার ব্যাটারি ‘গ্রাভিটন’ উদ্বোধন করলেন কন্ঠশিল্পী তাহসান

    image

    বাউবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল

    Zion the Humanoid Robot

    Zion the Humanoid Robot Shocks Detroit by Shaking Hands on 7 Mile Road — Viral Video Sparks Buzz

    Manobbondon

    কাপাসিয়ায় রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

    হংকংকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

    হংকংকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

    এখন বিদ্যুৎ বিল দেয়া যাচ্ছে বিকাশ মার্চেন্ট পয়েন্ট থেকেও

    Sara Arjun

    Who is Sara Arjun? Meet Ranveer Singh’s Young Co-Star Creating Buzz with Her Bollywood Debut in Dhurandhar

    রাশমিকার ছুটির দিন

    রাশমিকার ছুটির দিন কাটে কান্নাকাটি করে!

    Archita Phukan viral link

    Archita Phukan Viral Link: What’s Happening and Why It Matters

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.