জুমবাংলা ডেস্ক : অফিসের গোপনীয়তা ফাঁস, দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা এবং আর্থিক অনিয়মসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সাতক্ষীরা এলজিইডি অফিসের মাস্টাররোলে কর্মরত হিসাব সহকারী আব্দুর রহিম হাওলাদারকে ২০২২ সালের ৫ জুলাই চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশনা মতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও অদ্যাবধি তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন, নিয়মিত অফিস করছেন।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলজিইডির সাতক্ষীরাস্থ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীরা।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মাস্টাররোলে কর্মরত হিসাব সহকারী আব্দুর রহিম হাওলাদারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও তিনি অদৃশ্য শক্তির বলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। আব্দুর রহিম হাওলাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে অফিসের গোপনীয়তা ফাঁস করেন। এক্ষেত্রে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীকেও জিম্মি করতে ছাড়েন না। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা দিয়ে পটুয়াখালীর বাউফলে বিলাস বহুল বাড়ি তৈরি করেছেন। নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ও সঞ্চয় পরিদপ্তরে টাকা জমা রেখেছেন। তার কথা মতো কাজ না করলে অধস্তন কর্মচারীদের তিনি বদলির হুমকি দেন। ঠিকাদারদের সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করে নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে কৌশলে বিল ছাড়িয়ে নেন।
অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মাস্টাররোলে কর্মরত হিসাব সহকারী আব্দুর রহিম হাওলাদার গণমাধ্যমকে জানান, তার চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয় নিয়ে মামলা চলছে। এজন্য তিনি নিয়মিত অফিস করছেন।
এলজিইডির সাতক্ষীরাস্থ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী সহিদুল ইসলাম জানান, যতদূর জানি চাকরি হারানোর পর তিনি পুনরায় চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করেছিলেন। তিনি বেতনও পান না। কোনো প্রকল্পে ঢোকা যায় কি না, সেজন্য চেষ্টা করছিলেন। মূলত এভাবেই তার অফিসে আসা যাওয়া।
এ প্রসঙ্গে এলজিইডির সাতক্ষীরাস্থ নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, আমি তিন দিন হলো সাতক্ষীরায় যোগদান করেছি। এসব বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারিনি। বিষয়টি দেখবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।