জুমবাংলা ডেস্ক: ঝালকাঠিতে চায়না জাতের মিষ্টি কমলা চাষ করে তাক লাগিয়েছেন আশিষ হালদার নামের এক যুবক। বাগান করার দ্বিতীয় বছরেই এসেছে সাফল্য। মিষ্টি জাতের এই কমলা চাষে ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এদিকে কমলার এই বাগান দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্তের মানুষজন আসছেন। এতে ফলটি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেকেই।
বিএ পাস করে একজন চিকিৎসকের চেম্বারে ল্যাব সহকারীর পদে চাকরি করতেন আশিষ হালদার। পরে সেখান থেকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শাঁখাগাছি গ্রামে নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে চায়না জাতের ৪৯ টি কমলা গাছ রোপণ করেন তিনি। বর্তমানে তার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ রঙের কমলা।
আশীষ হালদার বলেন, ‘কিছু করার চিন্তাভাবনা থেকেই কমলা চাষ শুরু করি। ইতোমধ্যেই দেড়শ টাকা কেজি দরে ৫ মণ কমলা বিক্রি করেছি। আরও প্রায় ৫ মণ কমলা বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে যারা আমার বাগান দেখতে আসছেন তাদের নিজের গাছের কমলা দিয়ে আপ্যায়ন করি। এই বাগান দেখে অনেকেই চায়না জাতের কমলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।’
কমলা বাগান দেখতে আসা মো. তানভির মিঞা বলেন, ‘চায়না কমলা বাগান দেখে খুব ভালো লেগেছে। ঝালকাঠিতে এরকম কমলা চাষ আগে হয়নি। এরকম বাগান করার আগ্রহ রয়েছে অনেকের। সরাসরি বাগান থেকে রাসায়নিকবিহীন কমলা কিনে খেতে অনেক ভাল লাগছে। নিজে খাচ্ছি এবং পরিবারের জন্য নিয়ে যাচ্ছি।’
ঝালকাঠি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ বলেন, ‘ঝালকাঠিতে মিষ্টি জাতের কমলা চাষ হয়- এমন ধারণাই ছিল না কৃষি বিভাগের। মিষ্টি জাতের কমলা চাষের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এই কমলার গুণগত মান ভালো থাকলে পরবর্তীতে অন্য চাষিদেরকেও এই ফল চাষে উদ্ভুদ্ধ করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।