চীনের প্রযুক্তি খাতে বছরের পর বছর দমন-পীড়নের পর আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা আবার কোম্পানির ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়েছেন। দীর্ঘ চার বছর অনুপস্থিত থাকার পর তিনি এখন নতুন উদ্যমে কোম্পানির প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবেলা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রকল্পে অংশ নিচ্ছেন।
২০২০ সালের শেষ দিকে অ্যান্ট গ্রুপের আইপিও আটকে দেয়ার পর এবং রাষ্ট্রীয় তদন্ত শুরুর পর জনসমক্ষে অদৃশ্য হয়ে যান জ্যাক মা। দীর্ঘ অনুপস্থিতি আলিবাবার ভিতরে মনোবল ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি কোম্পানির দৈনন্দিন কাজেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হচ্ছেন, প্রতিদিন এআই প্রকল্পের আপডেট নিচ্ছেন এবং এক কর্মকর্তাকে দিনে তিনবার মেসেজ করছেন বলে জানা গেছে।
জ্যাক মা আলিবাবার প্রতিদ্বন্দ্বী জেডি ডটকম ও মেইতুয়ানের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল গ্রহণ করছেন। উদাহরণস্বরূপ, জেডি’র বাজারে হঠাৎ প্রবেশ ঠেকাতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ইউয়ান (৯ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলার) ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্তও তার প্রভাবে হয়েছে।
অ্যান্ট গ্রুপে ২০২৩ সালে ফিরে প্রথম ভাষণ দেওয়ার সময় কর্মীরা আবেগে কেঁদে ফেলেছিলেন। এ বছরের এপ্রিল মাসে আলিবাবার ক্লাউড বিভাগে তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “প্রযুক্তি মানে শুধু মহাকাশ জয় নয়, প্রযুক্তি আমাদের ভেতরের আলো জ্বালিয়ে রাখারও নাম।”
আজকের চীনা ই-কমার্সে আলিবাবা আর একচেটিয়া বাজার ধরে রাখতে পারছে না, তবে খাবার ডেলিভারি ব্যবসায় তারা এখন ৪৩ শতাংশ বাজার নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। শেয়ার পুনরুদ্ধারের সাম্প্রতিক সাফল্য জ্যাক মাকে আবারও বড় লড়াইয়ে নামতে উসকে দিয়েছে।
তবে অফিসিয়াল কোনো পদে ফেরার সম্ভাবনা নেই জ্যাক মা-এর । ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ানো জ্যাক মা কেবল একটি কর্মী ব্যাজ গলায় ঝুলিয়ে জানান দিচ্ছেন— তিনি ফিরেছেন।
চীনা উদ্যোক্তা চেন ওয়েইসিংয়ের ভাষায়, ‘জ্যাক মা ভাবছেন, এখনই সময় সন্ন্যাস ভেঙে আবার মঞ্চে নামার। যেন এক গংফু উপন্যাসের কাল্পনিক নায়ক, যিনি তার শেষ যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত।’
এর আগে ১৯৯৯ সালে ৮০ জন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ৮০ হাজার মার্কিন ডলার সংগ্রহ করে যাত্রা শুরু করেন অনলাইন মার্কেটপ্লেস আলিবাবার। যার বাজার মূলধন এখন ৮০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।