জুমবাংলা ডেস্ক : উপজেলার সরকারি হাসপাতালগুলোয় ডাক্তারদের না পাওয়ার অভিযোগ সাধারণ মানুষদের।
সম্প্রতি উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির ঘটনায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ রাখার বিষয়টিকে নিয়ে।
অনেকে মনে করছেন, যতদিন প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ রাখা হবে ততদিন সরকারি হাসপাতালে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে না। তবে এতে দ্বিমত জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব।
তার মতে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অনুপাতে চিকিৎসকদের সংখ্যা মাত্র হাতে গোনা হওয়ায় তাদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বাদ দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
তবে বাস্তবে উপজেলা পর্যায়ে এখনও চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা মমতাজ বেগমের ভাই কিছুদিন আগে ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।
কিন্তু সেখানে কোন ডাক্তার না থাকায় তাৎক্ষণিক কোন চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি।
মিসেস মমতাজ বলেন, “ভাইরে নিয়ে সন্ধ্যায় হসপিটালে গেসি। ইমার্জেন্সিতে কোন ডাক্তার নাই খালি কম্পাউডার আছে। সাধারণ একটা চিকিৎসার জন্য গেলেও কাউকে পাইনা।”
“আউটডোরে ডিউটির জন্য ১৬/১৭জন ডাক্তার এখান থেকে বেতন নেয়। কিন্তু আসে মাত্র তিন জন। একজন গাইনি, একজন সার্জন আরেকজন দাঁতের সার্জন আর কেউ থাকেনা।”
প্রতি বছর সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভর্তি হচ্ছেন, যার মধ্যে মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট হচ্ছেন সাড়ে ৮ হাজারের মতো।
এছাড়া গত ১২ বছরের তুলনায় চিকিৎসা ক্যাডারের সংখ্যা চার গুণ বাড়লেও এখনও রোগী ও চিকিৎসকের অনুপাতে ভারসাম্য আসেনি।
এমন অবস্থায় প্রাইভেট প্র্যাকটিস সমস্যার সৃষ্টি করলেও সেটা তুলে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানান আসাদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “প্রাইভেট প্র্যাকটিস অবশ্যই এক ধরণের বাঁধা। দেশে এখন সরকারি ডাক্তার আছেন ৩০ হাজারের মতো, জনবল আছে দুই লাখ। ১৬ কোটি মানুষকে ওই হিসেবে ভাল সেবা দিতে আমাদের আরও ১০ লাখ কর্মকর্তা কর্মচারি নিয়োগ দিতে হবে। যা আমাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।”
তবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই সীমিত সম্পদ ও জনবলকে দিয়েই দেশের চিকিৎসা সেবার পরিধি দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা হাতে নেয়ার কথা জানান তিনি।
দুই মাস আগে সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল।
সেই রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরিতে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশ দেয়।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।