জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চেম্বারে চিকিৎসা নিতে আসা এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক চিকিৎসককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় মাওনা চৌরাস্তায় এমদাদ হোসেন (৩৫) নামের এক চিকিৎসকের চেম্বারে ওই ঘটনা ঘটেছে।
ভিকটিমের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক নাহিদ হাসান জানান, আটক চিকিৎসক এমদাদ হোসেন, ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার মেহেরাবাড়ী এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। মাওনা চৌরাস্তার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন হাজী জাহেদ আলী সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এমদাদ ডিজিটাল ডেন্টাল কেয়ার নামের একটি চেম্বারে তিনি দন্ত চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে মেয়েকে ওই দন্ত চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকিয়ে তার মা চেম্বারের বাইরে অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে হঠাৎ মেয়ের কান্নার শব্দ পেয়ে চেম্বারে ঢুকেন। পরে মেয়েকে চিকিৎসা না দিয়ে তার ব্যক্তিগত কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।
এ সময় মেয়ের ডাক চিৎকার শুনে মা তার কাছে গেলে মেয়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণচেষ্টার কথা জানায়। পরে মা চেম্বার থেকে বের হয়ে ঘটনাটি স্থানীয়দের জানালে স্থানীয়রা চিকিৎসকের চেম্বার ঘেরাও করে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয় এবং পুলিশে দেয়।
আহত চিকিৎসককে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, তার মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মেয়ের দন্তরোগের সমস্যায় তিনি মঙ্গলবার বিকেলে তাকে নিয়ে ওই দন্ত চিকিৎসকের চেম্বারে যান। পরে তাকে অপেক্ষমাণ কক্ষে বসিয়ে চিকিৎসক এমদাদ হোসেন তার মেয়েকে ব্যক্তিগত কক্ষে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন।
এ সময় ভয়ে কিশোরী চিৎকার শুরু করলে তিনি গিয়ে তার মেয়েকে উদ্ধার করেন। পরে চিকিৎসক এ ঘটনা কাউকে প্রকাশ না করার জন্য তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।