জুমবাংলা ডেস্ক:রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে ১০৫ টাকা দরে প্রতি কেজি কাঁচা বাদাম পাইকারি হিসেবে বিক্রয় হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই দামে বাদাম ক্রয় করেন।
জানা যায়, উপজেলার পদ্মার বালু চরে কৃষি অফিসের পরামর্শে ব্যাপকভাবে বাদাম চাষ হয়। এছাড়াও এই চড়ে চাষাবাদ হচ্ছে বিভিন্ন রকমের দানা জাতীয় শস্য। পদ্মার বিস্তৃত চরজুড়ে এ বছর ব্যাপকহারে বাদামের চাষাবাদ হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্যমাত্রা ২৫০ হেক্টরের চেয়ে বেশি পরিমাণে বাদামের চাষ হয়েছে। দামও ভাল পেয়ে খুশি চাষিরা। চরাঞ্চলের মাটিতে পলি পড়ায় বিগত সময়ের চেয়ে এ বছর বাদাম চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। ফসল তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দ্বিগুণ ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের বালু চরে শুধু বাদাম চাষ হচ্ছে। এ বছর ২৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এর চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ২.১৭ মে. টন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মার চরাঞ্চলের পলাশি ফতেপুর, করারি নওশারা, কালিদাদখালি, চকরাজাপুর, দাদপুর ও টিকটিকিপাড়া এলাকার অসংখ্য কৃষক এবছর বাদামের চাষ করেছেন। অনেকেই জমি বর্গা নিয়ে বাদাম চাষ করেছেন। বাদাম চাষের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বহুগুণে ছাড়িয়েছে।
পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের বাদাম চাষি গোলাম মোস্তফা, মজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, কালিদাসখালি গ্রামের হাফিজুল ইসলাম, জালাল উদ্দীন, জহুরুল মালিথা, আকছেন শিকদার প্রত্যেকেই এ বছর বাদাম চাষ করেন। তারা জানান, বিগত যে কোন বছরের তুলনায় এবার পদ্মার চরে বাদাম চাষ বেশি হয়েছে। গত বছর বাজারে বাদামের দাম ভাল পাওয়ায় এবার অধিকাংশ কৃষক বাদাম চাষে আগ্রহী বলে তারা জানান।
চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়ন সদস্য ফজলুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৮ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছেন। উপযুক্ত পরিচর্যা করায় বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমন কম হয়েছে। এতে পুরোদমে সহযোগিতা পেয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগের। অন্যান্য বছরের চেয়ে ভালো ফলন পেয়েছেন।
উপজেলা সদরের বাদাম ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান জানান, উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র পদ্মার চরে ছাড়া কোথাও বাদাম পাইকারী হিসেবে পাওয়া যায় না। আমি প্রতিদিন পদ্মার চর থেকে ৪০-৫০ মণ বাদাম ক্রয় করে নিয়ে যায়। আমার মতো আরো ব্যবসায়ীরা এখান থেকে বাদাম ক্রয় করে নিয়ে যায়। সোমবার ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি মণ বাদাম ক্রয় করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, বাদাম পরিচর্যায় খরচ ও সময় কম লাগে। গত বছর বাদামের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা এবার আগাম বাদাম চাষ করেন। একই সাথে ফলন ভালো হওয়ায় চিনা জাতের বাদামের পাশাপাশি অনেকে ত্রি-দানা জাতের বাদামের আবাদও করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষে বাদামের বীজ বপন, পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।