নীলফামারী প্রতিনিধি: চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ দিয়ে শুধু বাংলাদেশ-ভারতের ট্রেন চলাচল সীমাবদ্ধ থাকবে না। এ পথ দিয়ে নেপাল ও ভুটানের ট্রেনও চলাচল করবে।
আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলস্টেশন ও ভারতীয় সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় এই তথ্য জানান রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটী।
তিনি বলেন, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার চিলাহাটি রেলস্টেশনের উন্নয়নমূলক কাজ, পাসপোর্টের মাধ্যমে দুই দেশের মানুষের চলাচল, এ পর্যন্ত এই রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা মালপত্র, ভারতীয় ট্রেন এখানে প্রবেশের পর কীভাবে ফিরে যায়- সেসব বিষয় পর্যালোচনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী কাস্টম অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায়, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান এবং ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
দীর্ঘ ৫৬ বছর পর ১ আগস্ট চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে আবারও চালু হয়েছে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাক-ভারত বিভক্তের পরও এ পথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করতো যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল।
২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছর বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনেতিক সম্পর্কের ৫০ বছর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ওই সময় ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ঢাকা থেকে নিউজলপাইগুড়ি পর্যন্ত আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করেন। যাত্রীবাহী ট্রেনটি উদ্বোধন করা হলেও করোনা পরিস্থিতি যাত্রীবাহী ট্রেনের চাকা আপাতত থামিয়ে রেখেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।