জুমবাংলা ডেস্ক : আদালতে আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হ’ত্যার আগে তার ওপর চলা শেষ চার ঘণ্টার অমানুষিক নি’যার্তনের চিত্র ফুটে উঠেছে। আবরার হ’ত্যাকাণ্ডের পর যে ভিডিওফুটেজ প্রকাশ হয়েছে তাতে দেখা গেছে ৬ ঘণ্টা পাশবিক নি’র্যাতন শেষে মৃ’তপ্রায় আবরারকে কোলে করে তুলে নিয়ে শেরেবাংলা হলের সিঁড়িতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
মৃ’ত্যুর আগে পানি চেয়েও পাননি আবরার ফাহাদ। জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আবরার হ’ত্যা মামলার আসামি মোজাহিদ। তিনি বলেন, আবরার পানি চাইলে তাকে পানি না দিয়ে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা অনিক বলেন, ও ভান করছে, আরও পেটালে ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা অনিক সরকার এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আবরারকে পিটিয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। রাত ১২টায় আবরার ভীষণ অসুস্থ হয়ে পর পর দুবার বমি করে। তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। অবস্থা বেগতিক দেখে মেঝেতে আবরারের মাথার নিচে বালিশ দেয় ইফতি। ইফতি ফোন করে অনিককে আবরারের অবস্থার কথা জানালে জবাবে, কিচ্ছু হবে না বলে আশ্বস্ত করে। এসময় আবরার আবার বমি করলে বাধ্য হয়ে কয়েকজন ধরে তাকে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে শুইয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর আবরারকে সিড়িতে ফেলে দেয়া হয়।
আবরার হ’ত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা মোজাহিদুল ইসলাম জবানবন্দিতে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যারা আবরার হ’ত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছে মোজাহিদুল ইসলাম তাদের অন্যতম। তিনি বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বুয়েট ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাকে জেলে পাঠানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।