আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার চীনের গুরুত্বপূর্ণ কৃত্রিম দ্বীপের কাছাকাছি চলাচল করেছে। সোমবার দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা হিসেবে যুদ্ধজাহাজটি নিয়মিত অভিযানে অংশ নিয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই মার্কিন উদ্যোগকে বেআইনি বলে উল্লেখ করেছে বেইজিং। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের কৌশলগত সমুদ্রপথে বেইজিংকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রায় সময় এমন নৌযান চলাচলের উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সর্বশেষ এই ঘটনাটি এমন সময় ঘটলো যখন তাইওয়ানকে ঘিরে চীন তিন দিনের সামরিক মহড়া চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর বলেছে, ইউএসএস মিলিয়াস নামের ডেস্ট্রয়ারটি স্পার্টলি দ্বীপের মিসচিফ রিফের ১২ নিটক্যাল মাইলের মধ্যে স্বাভাবিক অভিযানে অংশ নিয়েছে।
এক সময় সাগরে ডুবে যাওয়া রিফটিতে চীন বিমানবন্দর ও অপর স্থাপনা নির্মাণ করেছে।
মার্কিন নৌবাহিনী আরও বলেছে, প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় মিসচিফ রিফ জোয়ারে ডুবে গিয়ে স্বাভাবিকতা হারিয়েছে। ফলে এগুলো একটি আঞ্চলিক সমুদ্রের আওতায় পড়ে না। এখানে অবকাঠামো নির্মাণের ফলে আন্তর্জাতিক আইনে এর চরিত্র বদলে যায়নি।
চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ চীনের অনুমতি ছাড়াই রিফের কাছাকাছি সীমায় প্রবেশ করেছে। যুদ্ধজাহাজটির ওপর নজর রাখা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়।
পিএলএ’র সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ড বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরে ও আশেপাশের সমুদ্রসীমা এলাকায় চীনের অবিসংবাদিত সার্বভৌমত্ব রয়েছে।
গত মাসে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একই যুদ্ধজাহাজের চলাচল নিয়ে বিরোধে জড়ায়। বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের বিশাল অংশের মালিকানা দাবি করে বেইজিং। সমুদ্রের কিছু অংশের মালিকানা দাবি করে আসছে ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।