আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী টাইফুন লেকিমার আঘাতে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
ঝড়ের কারণে পূর্বাঞ্চলীয় শহর ওয়েনঝৌতে ভূমিধসে চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এখনো অন্তত ১০ জন নিখোঁজ আছেন। খবর বিবিসির।
শনিবার উপকূলীয় শহর ওয়েনঝৌর ১৩০ কিলোমিটার উত্তরে একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর ওই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
লেকিমা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৭ কিলোমিটার বেগের বাতাস নিয়ে শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশে আঘাত হানে। বুধবার এটি সুপার টাইফুনের আকৃতি নিলেও চীনে আঘাত হানার সময় শক্তি অনেকটাই কম যায়।
লেকিমার কারণে এরই মধ্যে হাজারখানেক ফ্লাইট ও ট্রেনের শিডিউল বাতিল করা হয়েছে।
চীনের আবহাওয়া ব্যুরো টাইফুন সতর্কতার মাত্রা আগের ‘রেড অ্যালার্ট’ থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ‘অরেঞ্জ অ্যালার্টে’ নামিয়ে এনেছে।
শুক্রবার টাইফুনটি ১৯০ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাস নিয়ে তাইওয়ানে আঘাত হেনেছিল।
লেকিমা এখন উত্তর দিকে ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে এবং শক্তি হারাচ্ছে বলে জানিয়েছে চীনের আবহাওয়া ব্যুরো।
নিংবো সিটির ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের প্রধান ফু স্যাংল্যাং বলেছেন, লেকিমা শক্তি হারালেও এর পড়ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
টাইফুনের কারণে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টি শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল থেকেই এশিয়ার অন্যতম ‘ফিন্যান্সিয়াল হাব’ খ্যাত সাংহাইকে কার্যত অচল করে রেখেছে। প্রদেশটির আট লাখ মানুষের পাশাপাশি সাংহাইয়ের আরও আড়াই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঝেজিয়াংয়ের প্রায় ২৮ লাখ বাড়িঘর অন্ধকার হয়ে পড়েছে।
প্রদেশটির ছয়টি শহরের ২০০ বাড়িঘর ধসে পড়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৩০০ হেক্টর কৃষিজমি।
টাইফুনের আঘাতে অগ্নিকাণ্ড, বিস্ফোরণ এবং বিভিন্ন রাসায়নিক পার্ক ও তেল শোধনাগার থেকে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।