আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনে জন্মহার বাড়াতে তিন সন্তানের নীতি আনুষ্ঠানিকভাবে আইনে পরিণত করা হলো। এখন থেকে দেশটির যে কোনো দম্পতি চাইলে তিনটি করে সন্তান নিতে পারবেন। খবর বিবিসি’র।
শুক্রবার চীনের শীর্ষ আইনপ্রণেতারা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (এনপিসি) -এর সভায় এ আইন পাস করেন।
চীনের তিন সন্তান নীতি আসলে কি?
কয়েক দশক ধরে কঠোরভাবে ১৯৭৯ সালে চালু হওয়া ‘এক সন্তান নীতি’ কার্যকর করে আসছিল চীন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ম চালু থাকার কারণে অনেকেই সন্তান নিতে পারেননি। সন্তান নিলেও নীতি ভঙ্গের কারণে তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হয়। ফলে দেশটির অনেক নারীই একের অধিক সন্তান জন্মদান থেকে বিরত ছিলেন। যে কারণে দেশটিতে কয়েক প্রজন্মের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য তৈরি হয়।
এখন দেশটিতে যে জনসম্পদ রয়েছে তার বেশিরভাগই বয়স্ক। তাই অর্থনীতির উন্নতি সাধন ঘটলেও জনশক্তি প্রায় নিম্নস্তরে অবস্থান করছে। চীনে গত বছর জন্ম নেয় এক কোটি ২০ লাখ শিশু। ২০১৬ সালে এ সংখ্যা ছিল এক কোটি ৮০ লাখ। ষাটের দশকের পর এটা শিশু জন্মের সর্বনিম্ন হার দেশটিতে।
এমন পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্য ২০১৬ সালে চীন এক সন্তান নীতি বাতিল করে দুই সন্তান নীতি চালু করে। কিন্তু এরপরেও চীনে জন্মহার স্থায়ীভাবে বাড়েনি। এবার দেশটির সরকার জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে দম্পতিদের উৎসাহিত করতে তিন সন্তান নিতে আইন পাস করলো।
তবে চীনের তিন সন্তান নেওয়ার এ আইন কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলছেন বিশ্লেষকরা। বড় বড় শহরগুলোতে সন্তান পালনের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান খরচ অনেক বেড়ে গেছে সেখানে। এ ছাড়া দেশটির অধিকাংশ নারী কর্মজীবী। ফলে তাদের অনেকেই একের অধিক সন্তান নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। যদিও তিন সন্তান নেওয়া দম্পতিরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বস্ত করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।