চীনের প্রথম বৃহৎ মহাকাশ টেলিস্কোপটি চীনের মহাকাশ স্টেশনে ২০২৪ সালের দিকে বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এটিকে চাইনিজ সার্ভে স্পেস টেলিস্কোপ বা চাইনিজ স্পেস স্টেশন বলা হয়ে থাকে। সংক্ষেপে একে জুনটিয়ান বলা হয়। এই টেলিস্কোপটি আকাশে জরিপ পরিচালনা করতে পারবে ও মহাকাশের মানচিত্র ধারণ করতে পারবে এবং ছবি তুলতে পারবে।
টেলিস্কোপটির মিশনের মেয়াদ থাকবে ১০ বছর। যদিও সুবিধা অনুসারে এই মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। চায়না স্পেস স্টেশনে ২০২২ সালের শেষ দিকে টেলিস্কোপ নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে ২ মিটারের একটি এপারচার এবং অত্যাধুনিক ডিটেক্টর রয়েছে। এর ওজন ১০ টনেরও বেশি। দৈর্ঘ্যের কথা বললে এটি তিন তলা ভবনের সমান হবে।
চাইনিজ একাডেমি অফ সাইন্স এর অধীনে টেলিস্কোপটির প্রোটোটাইপের নমুনা তৈরি প্রায় শেষ দিকে। টেলিস্কোপটির প্রাথমিক উন্নয়ন কার্যক্রম সফল হয়েছে। এই স্পেস টেলিস্কোপ দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত। প্রথমটি হচ্ছে অপটিক্যাল সুবিধা ও দ্বিতীয়টি হচ্ছে জুনটিয়ান প্লাটফর্ম।
চীনের তৈরি এই টেলিস্কোপের অনেক সাবসিস্টেম রয়েছে। এটি একটি প্রথম প্রজন্মের জুনটিয়ান স্পেস টেলিস্কোপ। এখানে মডিউল, মাল্টি চ্যানেল ইমেজার, ইন্ট্রিগ্রাল ফিল্ড স্পেক্ট্রাম ও প্ল্যানেটারি ইমেজিং করোনাগ্রাফ সহ পর্যবেক্ষণ যন্ত্রপাতি রয়েছে।
ভবিষ্যতের মহাকাশ উৎক্ষেপণের পরীক্ষার জন্য টেলিস্কোপটিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। চীন মহাকাশ স্টেশন এর কাজ শেষ হওয়ার পর টেলিস্কোপটিকে মহাকাশে পাঠানো হবে এবং পর্যবেক্ষণ করা হবে। দাবি করা হচ্ছে যে এটি হাবল স্পেস টেলিস্কোপ থেকে ৩০০ গুন দূরত্বে ছবি তোলার সামর্থ্য রাখে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।