ঘরের মাঠে প্রথমবার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সেই সিরিজ হারের জন্য আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংসের দিকে আঙুল উঠেছে। মহেন্দ্র সিং ধোনিদের দলের বিরুদ্ধে ‘দেশদ্রোহে’র অভিযোগ তুললেন সাবেক ভারতীয় তারকা রবিন উথাপ্পা। তার মতে, চেন্নাই দেশের কথা ভুলে গিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বার্থে রাচিন রবীন্দ্রকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে!
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার কথা বলেছেন সদ্য সমাপ্ত ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজ নিয়ে। যেখানে বেঙ্গালুরু, পুনে ও চেন্নাইতে স্পিন ফাঁদ বানিয়েও রক্ষা হয়নি রোহিত শর্মার দলের। সেই ফাঁদকে কাজে লাগিয়েই কিউইরা স্বাগতিকদের হারিয়েছে। আর এই সিরিজ শুরুর আগে চেন্নাইয়ের হয়ে গত আইপিএলে খেলা রাচিন রবীন্দ্র তাদের একাডেমিতে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন বলে ক্ষুব্ধ উথাপ্পা।
তিনি বলছেন, ‘রাচিন রবীন্দ্র এখানে এসে সিএসকে একাডেমিতে অনুশীলন করেছিল। সিএসকের অ্যাকাডেমি অত্যন্ত ভালো। ফ্র্যাঞ্চাইজি সবসময় তাদের খেলোয়াড়দের স্বার্থ দেখবে, এটাই হওয়া উচিৎ। কিন্তু দেশের স্বার্থ আর ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বার্থের মধ্যে একটা সীমারেখা থাকা উচিৎ। বিশেষ করে বিদেশি খেলোয়াড় যখন আমাদের দেশের বিপক্ষেই খেলতে আসে, সেক্ষেত্রে তার জন্য অবশ্যই সীমারেখা টানা প্রয়োজন।’
মূলত ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগেই গ্রেটার নয়ডায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলার কথা ছিল। যদিও অব্যবস্থাপনার কারণে সেই ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি। তবে ম্যাচটির আগে রাচিন নাকি সিএসকে একাডেমিতে গিয়ে ভারতের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। যার ফলস্বরূপ ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট ম্যাচে ১৫৭ বলে ১৩৪ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন অপরাজিত ৩৯ রান। যা নিউজিল্যান্ডকে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১০৭ রান তাড়া করতে সহায়তা করেছিল।
পুনেতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ৬৫ রান করেন রাচিন। তবে ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার পরবর্তী তিন ইনিংসে আর বলার মতো কিছু করতে পারেননি। এমনকি বল হাতেও ছিল না কার্যকরী ভূমিকা। ভারতের স্পিন কন্ডিশনকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার ও এজাজ প্যাটেলরা। স্যান্টনার প্রথম দুই টেস্ট জয়ের প্রধান নায়ক, তৃতীয় টেস্টে তার অনুপস্থিতিতে পুরো আলো কেড়ে নেন প্যাটেল। যা মুম্বাইয়ের ওয়ানখেড়েতে কিউইদের ইতিহাসগড়া এক জয় এনে দেয়।
এর আগে উথাপ্পা ২০২১-২২ দুই মৌসুমে সিএসকের হয়ে আইপিএল খেলেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি বলেন, ‘আমি অবাক হইনি যে সিএসকে তাদের খেলোয়াড়দের দিকটা ভালোভাবে দেখে। এটি খুব ভালো ব্যাপার। আমি নিজেও চেন্নাইকে পছন্দ করি। কিন্তু হয়তো আমি ভুল হয়ে থাকতে পারি যে, যখন দেশের প্রশ্ন আসে, সেখানে কোথাও একটা সীমারেখা থাকা উচিৎ। আমাদের সেই সীমা লঙ্ঘন করা উচিৎ নয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।