জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁর মান্দায় আসামি ধরতে গিয়ে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে চেয়ারম্যান তোফার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, অতি উৎসাহী হয়ে আসামি ধরার নামে একজন জনপ্রতিনিধির বাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় তাণ্ডব চালিয়েছেন এসআই আতিউর রহমান। এটা দুঃখজনক উল্লেখ করে তারা এ ঘটনা তদন্তের দাবি জানান।
চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা জানান, সদর ইউনিয়নের ঘাটকৈর গ্রামের এক নারী একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মৎস্যজীবী পাড়ার আলাউদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে তার কাছে মৌখিক অভিযোগ দেন। বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করেন ওই নারী। শুক্রবার সকালে মীমাংসার জন্য দুইপক্ষ তার বাড়িতে আসেন।
অভিযোগ মীমাংসার জন্য ইউপি সদস্য রুস্তম আলীকে ডেকে নেন উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, দুইপক্ষকে নিয়ে অতিথি কক্ষে আলোচনা চলাকালে হঠাৎ সাদা পোশাকে এসআই আতিউর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হন। কিছু বুঝে উঠার আগেই দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রুবেল হোসেনকে ধরে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা।
বাধা দিলে কয়েকজন নারীকে হেনস্তা করাসহ ওই কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয় জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসআই আতিউর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
ইউপি সদস্য রুস্তম আলী অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সদস্যরা আসামি ধরার নামে কয়েকজন নারীকে লাঞ্ছিত করেন। মামলার আগেই পুলিশি তাণ্ডবের নিন্দা জানিয়ে তদন্ত করে দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিকে ধরতে চেয়ারম্যান তোফার বাড়িতে অভিযান চালান এসআই আতিউর রহমান। সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।