বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে আলোচনা থামছেই না। একের পর এক নাটকীয়তা চলছেই। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের পক্ষে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছে আদালত। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের শুনানি আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন পর্যন্ত জায়েদ-নিপুণ দু’জনের কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার নিয়ে এই দ্বন্দ্ব হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ানোয় নায়ক আলমগীর বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। কাজ নেই বলেই তো বিভক্তিটা হচ্ছে। কাজ না থাকলে মানুষ কি করে- খই ভাজে। কাজ নাই, তাই খই ভাজছে আরকি।’
এদিকে চলচ্চিত্রের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ১৮ সংগঠন তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছেন আলমগীরকে। গেল মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংগঠনের নেতা-সদস্যরা বৈঠকে বসেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যে, এই মোর্চার প্রধান হিসেবে এখন থেকে নেতৃত্ব দেবেন আলমগীর।
এ প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, ‘চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব।’
অনলাইনে জিনের বাদশার বিজ্ঞাপন!
তিনি আরও বলেন, ‘একটা সময় ১৪০০-১৫০০ হল ছিল, ১৪-১৫ জোড়া নায়ক-নায়িকা ছিলেন। আজ এ অবস্থা কেন? এটা কী করে উন্নয়ন করা যায়, কীভাবে হল বাড়ানো যায়, কীভাবে নায়ক-নায়িকা বাড়ানো যায় এগুলো নিয়ে কাজ করব।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনলে ৫ ফেব্রুয়ারি সেই পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে। পরে নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বিষয়টি ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে আসছেন জায়েদ খান। তাদের এই দ্বন্দ্ব এখন আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।