লাইফস্টাইল ডেস্ক: ব্রেন স্ট্রোকের কথা তো কমবেশি অনেকেই জানেন, কিন্তু এটা হয়তো অনেকেই জানেন না যে চোখেরও স্ট্রোক হয়ে থাকে। যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড প্রেসারের সঙ্গে ডায়াবেটিসও আছে, তাঁদের চোখে কিন্তু রক্তক্ষরণ হতে পারে। চোখের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ রেটিনা। রেটিনাতে অনেক রক্তনালি থাকে।
যাঁদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না তাঁদের চোখের রেটিনার রক্তনালিগুলোর একটি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তখন রোগী বুঝতে পারেন হঠাৎ করে তাঁর চোখের দৃষ্টি অনেকখানি কমে গেছে। হয়তো তিনি গতকাল চোখে ভালো দেখেছেন কিন্তু চোখে রক্তক্ষরণের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
করণীয়
► চোখে রক্তক্ষরণ হলে প্রাথমিকভাবে রোগীর ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
► এরপর বিভিন্ন পরীক্ষা দেওয়া হয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে কালার ফানডাস ফটোগ্রাফি। এটা হচ্ছে মূলত চোখের ছবি তোলা। এর মাধ্যমে বোঝা যায় চোখে ঠিক রক্তক্ষরণ কতটুকু হয়েছে।
► এরপর দেখা হয় রক্তক্ষরণ কতটুকু মাত্রা পর্যন্ত হয়েছে। রক্তক্ষরণের মাত্রা দেখে রোগীকে ইনজেকশন দেওয়া হয়।
► এই ইনজেকশন দেওয়া হলে রোগীর চোখে জমাটবদ্ধ রক্ত ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
► আক্রান্ত চোখের দৃষ্টি ভালো হয়ে যাওয়ার পর তিন থেকে ছয় মাস পর রোগীর সেই চোখে একটি এনজিওগ্রাম করা হয়। এর মাধ্যমে বের করার চেষ্টা করা হয় রোগীর চোখের রক্তক্ষরণের উৎসটি কোথায়? যদি পরীক্ষায় চোখে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পাওয়া যায়, তাহলে লেজার চিকিৎসার আশ্রয় নিতে হয়। তবে অনেক সময় ইনজেকশনের মাধ্যমেই রোগী ভালো হয়ে যায়।
► তবে ক্ষেত্রবিশেষে এমনটাও দেখা যায় যে রোগীর আক্রান্ত চোখের পুরোটাই রক্ত দিয়ে ভরে যায়। সে ক্ষেত্রে কিন্তু ইনজেকশনে পুরোপুরি কাজ করবে না। ফলে চোখে সার্জারির প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
সাবধানতা
তবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে না চাইলে রোগীদের নিজেদের রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এতে করে এ ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. সাবরিনা রহমতউল্লাহ
সহযোগী অধ্যাপক, ভিটরিও রেটিনা ও ফ্যাকো সার্জন, বাংলাদেশ আই হসপিটাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।