আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্লোভাকিয়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে তাতে তারা একমত হতে পারবে না। দেশটি বলেছে, রাশিয়ার জ্বালানি তেলের বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তার আরো বেশি সময়ের প্রয়োজন। খবর পার্সটুডে’র।
ইউক্রেনে রাশিয়া যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মস্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তেল নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রস্তাব তুলেছে। খসড়া প্রস্তাব অনুসারে- আগামী ছয় মাসের মধ্যে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি বন্ধ হবে এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ পরিশোধিত তেল ও তেলজাত পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ হবে। তবে স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরির জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে এ প্রস্তাবে। দেশ দুটি রাশিয়ার তেলের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। সে কারণে এ দুই দেশ ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত রাশিয়া থেকে তেল কিনতে পারবে।
এ সম্পর্কে স্লোভাকিয়ার উপ অর্থমন্ত্রী ক্যারেল গালেক মার্কিন সংবাদ মাধ্যম পলিটিকোকে বলেন, প্রস্তাবিত সময়সীমা দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোটেই পর্যাপ্ত নয়। তিনি বলেন, “আমরা অন্তত তিন বছর সময় আশা করছি।” ক্যারল জানান, তার দেশে যেসব ভারী তেল শোধনাগার রয়েছে সেগুলোতে রাশিয়ার তেল প্রয়োজন, প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে এর বিকল্প ব্যবস্থা করা অসম্ভব।
স্লোভাকিয়া রাশিয়া থেকে তার মোট চাহিদার শতকরা ৯৬ ভাগ তেল আমদানি করে থাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার যে প্রস্তাব দিয়েছে সে সম্পর্কে স্লোভাকিয়া বলছে, এর মাধ্যমে ইউরোপীয় অর্থনীতি ধ্বংস হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও ইউক্রেনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই খসড়া প্রস্তাব পাস করতে হলে জোটের ২৭টি দেশকে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হবে। কিন্তু এরইমধ্যে হাঙ্গেরি এই প্রস্তাব মানবে না বলে জানিয়েছে। দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে পারে নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।