জুমবাংলা ডেস্ক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান যে একসময় বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
১৯৯৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে (মমেক) পড়ার সুযোগ পান মুরাদ হাসান। ওই সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের ৭১ সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তাতে সভাপতি ছিলেন তাতে সভাপতি ছিলেন ডা. মাহবুব-উল কাদির ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ডা. মো. ইসাহাক। আর এই কমিটিতে প্রচার সম্পাদক ছিলেন ডা. মুরাদ।
ডা. ইসাহাক গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক ছিলেন মুরাদ। ১৯৯৩ সালে এম-৩০ ব্যাচে মুরাদ হাসান এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হোন। পরে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ছাত্রদলের কমিটির নেতারা সবাই ক্যাম্পাসের বাইরে চলে যান। কিন্তু মুরাদ হাসান ক্যাম্পাসেই থেকে যান এবং ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে ছাত্রলীগে যোগ দেন।
রাতারাতি সাচ্চা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে নিজেকে জাহির করেন মুরাদ। ছাত্রলীগে গিয়েও তিনি দাপট দেখিয়ে ১৯৯৭ সালে মমেক শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেন। এর দুই বছর পর ২০০০ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ পেয়ে যান মুরাদ।
মুরাদ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় ছাত্রদলে যুক্ত থাকার দাবি করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছিলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত জঘন্য, নিকৃষ্ট কথাবার্তা বলছেন। কাকে নিয়ে করছে? একজন ভুঁইফোড় ডাক্তার ছিলো শুনেছি, সম্ভবত জামালপুরের সরিষাবাড়ীর। এটাও শুনেছি সে নাকি একসময় ছাত্রদল করতো। দুঃখের কথা, দুর্ভাগ্যের কথা। আগে সে ছাত্রদল করতো। সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রচার সম্পাদক ছিলো। পরবর্তীকালে সে ছাত্রলীগে জয়েন করেছে। ধিক্কার দেই আমি তাকে। সেইম।’
মুরাদ যে ছাত্রদলের কমিটিতে ছিলেন তার একটি কপি গণমাধ্যমের কাছে এসেছে।
জামালপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান তালুকদারের ছেলে মুরাদ ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হয়ে প্রথমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মুরাদ। ২০১৯ সালে তাকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।