জুমবাংলা ডেস্ক: ছাত্রদলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতার সন্তান কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। শুধু তাই নয় তার বাবা ও এক ভাই বর্তমানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও।
শ্রাবণের গ্রামের বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামে। ২০০৩ সালে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আসাবিক ছাত্র শ্রাবণ কিছুদিনের মধ্যেই ছাত্রদল কর্মী হিসেবে হল ও বিভাগের সহপাঠীদের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।
২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন তিনি। সেই সময় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ছাত্রদল সভাপতি প্রার্থী হওয়া নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু ওই সম্মেলনে ভোটে হেরে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
শ্রাবণের বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান। সর্বশেষ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। সে সময় সাময়িকভাবে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হলেও পরবর্তীতে আবার আওয়ামী লীগে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
শ্রাবণের বড় ভাই মুস্তাফিজুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বর্তমানে দল থেকে বহিষ্কৃত তিনি। এদিকে তার আরেক ভাই মোজাহিদুল ইসলাম উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। আর ছোট ভাই আযাহারুল ইসলাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক।
রবিবার রওনাকুল ইসলাম ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ার খবর প্রকাশ হলে তা কেশবপুরের রাজনৈতিক মহলে প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। এই ঘটনাকে এক পরিবারের মধ্যে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সহাবস্থান হিসেবে দেখছেন অনেকে। তবে আওয়ামীপন্থী পরিবারের সন্তান হয়েও শ্রাবণের ছাত্রদল সভাপতি হওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে আলোচিত হচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার রুহুল আমিন বলেন, রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও শ্রাবণ ছাত্রকাল থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এতে দোষের কিছু নেই।
শ্রাবণের বাবা কাজী রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছেলেকে তো আর অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। ভিন্ন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় ছেলের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। ১৩ বছর ধরে সে বাড়িতে আসে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।