জুমবাংলা ডেস্ক : গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামি ইমরানকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকায় রবিন নামে আরেক একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) তৌহিদুল ইসলাম। গ্রেপ্তার ইমরান হোসেনের বাড়ি জেলা শহরের পূর্বপাড়া এলাকায় ও রবিন মিয়ার বাড়ি পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে।
এসপি তৌহিদুল ইসলাম জানান, রকি হত্যা মামলার আসামি ইমরানকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে সে লোহা গলানোর কারখানায় নাম পরিচয় পাল্টিয়ে আত্মগোপনে ছিল। পরে তার দেওয়া তথ্যে রবিন নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করা হবে। গ্রেপ্তার রবিন সদর থানার একটি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে একাধিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটনোর অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে গত ১১ জুলাই রাত ১০টার দিকে আশিকুর রহমান রকি ও তার দুই সহযোগী গাইবান্ধা শহর থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা গাইবান্ধা-বালাসী সড়কের পুর্বপাড়া হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে পৌছলে রকি ও তার দুই সহযোগীর পথরোধ করে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে রকি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রকিকে মৃত ঘোষণা করেন। সেসময় রকির দুই সহযোগী সোহেল মিয়া ও প্লাবনকে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শহরের পূর্বপাড়া এলাকার কাঞ্চনকে প্রধান আসামি ও একই এলাকার সোহাগ (৪০), মানিক (৪৫) ও ইমরানের (৩৪) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রকির বড় ভাই আতিকুর রহমান রোস্তম। রকির বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মধ্য কঞ্চিপাড়া গ্রামে। ২০১৫ সাল থেকে রকি ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।