নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়িয়েছে মানবিক ব্যাংক হিসেবে পরিচিত এনআরবিসি ব্যাংক।
আহতদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের জন্য কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা প্রদান করেছে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকটি।
সোমবার এনআরবিসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ৪৩জন আন্দোলনকারীকে ওই অর্থ প্রদান করা হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সাদিক কায়েম, শফিউল আলম শাহিন, আব্দুল হান্নান মাসুদ, তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, আরাফাত হোসেন ভুইয়া, রায়হান উদ্দিন, এবি যুবায়ের, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, সাব্বির উদ্দিন রিওন, আবিদ হাসান রাফিসহ অন্যান্য সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক লকিয়ত উল্যাহ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম, ডিএমডি কবীর আহমেদ, হারুনুর রশীদ ও মো. হুমায়ুন কবীর।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি উল্লেখ করে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়ে এনআরবিসি ব্যাংক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সম্প্রীতির বাংলাদেশে যার যার অবস্থান থেকে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোগটিকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
ব্যাংকটির চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে যারা স্বপ্ন দেখেছে, তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এনআরবিসি ব্যাংক পাশে থাকবে।
আহতদের চিকিৎসা ও অনুদানের পাশাপাশি ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথা জানান তিনি।
এছাড়া, আহত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা ও শহীদ পরিবারে কর্মক্ষম সদস্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যাংকটির এই উদ্যোক্তা পরিচালক।
অধিকার আদায়ের এই আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন সমন্বয়ক সাদিক কায়েম।
আহত ও শহীদ পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যদের স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে সমন্বয়ক শফিউল আলম শাহিন বলেন, আশা করি এনআরবিসি ব্যাংকের মতো অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানও আহত ও শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। ।
বক্তব্যে এনআরবিসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু বলেন, ছাত্র-জনতার সকল শুভ উদ্যোগের সাথে এনআরবিসি ব্যাংক সবসময় থাকবে। সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি এনআরবিসি ব্যাংক গণমানুষের কল্যাণ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতিবছর মুনাফার ১০ শতাংশ সিএসআর কার্যক্রমে ব্যয় করে ব্যাংকটি। সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে সিএসআর তহবিল থেকে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৫০ লাখ টাকা প্রদানসহ ১ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের পরিচালকদের ব্যক্তিগত অনুদান এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনের সমপরিমান অর্থ বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। কল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডের জন্য এনআরবিসি ব্যাংক ‘মানবিক ব্যাংক’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।