ছুটির দিন কীভাবে কাটে? এই সহজ–স্বাভাবিক প্রশ্নের সবচেয়ে পরিচিত এক শব্দের উত্তর হলো ‘ঘুমিয়ে’। এই ঘুম কারও কাছে অতি জরুরি, কারও কাছে নিতান্তই বিলাসিতা। তবে গবেষণা বলছে, ছুটির দিনের অতিরিক্ত দুই–তিন ঘণ্টা ঘুমের আছে স্বাস্থ্যগত সুফল। সেই অতিরিক্ত ঘুম আবার দিনে ৯–১০ ঘণ্টার বেশি নয়। যাঁরা সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে গড়ে ছয় ঘণ্টা বা তার চেয়ে কম ঘুমান, তাঁরাই এই সুফল অধিক ভোগ করবেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ–ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে সাহায্য করে ছুটির দিনের অতিরিক্ত দুই–তিন ঘণ্টা ঘুম। ছুটির দিনের বাড়তি ঘুম আপনার শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে। আপনাকে মানসিকভাবে সারিয়ে তোলে। চাপমুক্ত করে। ফলে ব্যক্তিগত ও পেশাজীবনে আবেগীয় ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হয়।
সপ্তাহের ছুটির দুই দিন যদি আপনি দুই–তিন ঘণ্টা বেশি ঘুমান আর অন্যান্য দিন ছয় ঘণ্টা ঘুমান, তাহলে গড়ে আপনি ঘুমান সাত ঘণ্টা। ছুটির দিনের এই বাড়তি ঘুম আপনার প্রয়োজনীয় স্মৃতি সাজিয়ে–গুছিয়ে রাখতে সাহায্য করে। সারা সপ্তাহের চাপ সামলে নতুন করে একটা কর্মব্যস্ত সপ্তাহের জন্য নিজেকে তৈরি হতে সাহায্য করে। ফলে সপ্তাহের নতুন পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, দায়িত্ব মাথার ভেতরে ভালোভাবে সাজিয়ে, সে অনুযায়ী কাজ করা সহজ হয়।
ছুটির দিনে ঘুমের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা না করা এবং ইচ্ছামতো জাংক ফুড, ভাজাপোড়া, কোমল পানীয় খাওয়ার ফলে মানুষের ওজন বাড়ে ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কমে যায়। তাই ঘুমের ঘাটতি পূরণ করতে ছুটির দিনের অতিরিক্ত দুই–তিন ঘণ্টা ঘুম তো সহায়ক বটেই, এতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমায়।
সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনে ঘুমের এমন অভ্যাস মানুষের হৃৎস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, এমনই তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। নতুন গবেষণা বলছে, ছুটির দিনে ঘুম মানুষের হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখে। পাশাপাশি হৃদ্রোগের ঝুঁকি ১৯ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে। তবে হৃৎস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে (একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা) অন্তত সাত ঘণ্টা গভীর ঘুম সবচেয়ে ভালো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।