জুমবাংলা ডেস্ক: ঘর করতে ছেলেরা যান শ্বশুরবাড়ি, পণের টাকা পান মেয়েরা! জানেন কি দেশের এই মাতৃতান্ত্রিক সভ্যতার বিয়ের কথা?
মেঘালয়, অসম এবং বাংলাদেশের কিছু এলাকায় বসবাসকারী খাসি উপজাতিতে কন্যাদের অনেক বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এই উপজাতিতে কন্যাসন্তানের জন্ম উদযাপন করা হয়, অন্য দিকে পুত্রসন্তানের জন্মের জন্য কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রচলন নেই। শুধু তাই নয়, বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতে ঘর করতে যান ছেলেরা, পণের টাকা দেওয়া হয় কনেকে।
সাধারণত ভারতে এখনও ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে সবক্ষেত্রেই পার্থক্য রয়েছে। বিবাহের মতো দ্বিপাক্ষিক বন্ধনেও ছেলেদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনেক পরিবারে কন্যাসন্তানদের পরধন বলেও সম্বধন করা হয়। সে ক্ষেত্রে বিয়ের পরই কনেকে বিদায় দেওয়ার রীতি রয়েছে আমাদের দেশে। কম-বেশি এই ঐতিহ্য বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও ধর্মেই প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে মেঘালয়, অসম এবং বাংলাদেশের কিছু এলাকায় বসবাসকারী খাসি উপজাতিতে কন্যাদের অনেক বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
এই উপজাতিতে কন্যাসন্তানের জন্ম উদযাপন করা হয়, অন্য দিকে পুত্রসন্তানের জন্মের জন্য কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রচলন নেই। শুধু তাই নয়, বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতে ঘর করতে যান ছেলেরা, পণের টাকা দেওয়া হয় কনেকে।
খাসি উপজাতিতে পুত্রদের বিদেশি সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্য দিকে, কন্যাসন্তান ও তার মাকে ঈশ্বরের সমকক্ষ বিবেচনা করে পরিবারে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়। এই উপজাতির দেব-দেবতা সম্পূর্ণরূপে কন্যাসন্তানের জন্য নিবেদিত। এই ধরনের উপজাতি সেই সব সম্প্রদায় ও অঞ্চলের জন্য আদর্শ উদাহারণ যারা কন্যাসন্তানের জন্মে শোকাহত হন। আজও আমাদের দেশের এক বড় অংশের মানুষ কন্যাসন্তানকে বোঝা মনে করেন।
তবে প্রযুক্তির অগ্রগতি ও সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই ধারণা পাল্টে যেতে শুরু করলেও তার গতি অত্যন্ত ধীর। খাসি উপজাতিতে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন অনেক ঐতিহ্য ও প্রথা রয়েছে, যা ভারতের বাকি অংশের তুলনায় একেবারেই বিপরীত।
খাসি উপজাতিতে নারীদের একাধিক বিবাহ করার অনুমতি রয়েছে। তবে পুরুষরা বহুবার এই প্রথা বদলানোর দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, তারা নারীদের হেয় করতে চান না বা তাদের অধিকার কমাতে চান না, বরং তারা নিজেদের জন্য সমান অধিকার চান। খাসি উপজাতিতে পরিবারের ছোট-বড় সব সিদ্ধান্তই নারীদের মতো অনুযায়ী চলে।
এখানে শুধুমাত্র নারীরাই সংসারের জন্য রোজগার করেন, বাজার ও দোকান সামলান, সন্তানদের দেখভাল করেন। উপাধি ধারণের ক্ষেত্রেই সন্তানরা মায়েদেরই গুরুত্ব দেন। মেঘালয়ের গারো, খাসি, জয়ন্তিয়া উপজাতিদের মধ্যে এই নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। এঁরা মূলত মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার প্রতিভূ।
সূত্র: নিউজ ১৮
কোথাও হাড়কাঁপানো ঠান্ডা আবার কোথাও কান্নার ফোঁপানির শব্দ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।