জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গতকাল শুক্রবার নেওয়া হয় কামাল লোহানীকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিকিৎসকরা আজ শনিবার সকালে মৃত ঘোষণা করেন এই বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে।
তবে এখনও খুলে দেওয়া হয়নি লাইফ সাপোর্ট। ফ্রিজিং ভ্যান নিয়ে আসবেন কামাল লোহানীর ছেলে সাগর লোহানী। তিনি পৌঁছলে খোলা হবে লাইফ সাপোর্ট।
রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ শনিবার (২০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে এসব জানিয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কামাল লোহানীর তীব্র নিউমোনিয়া, হাইপার টেনশন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হার্টে সমস্যা, হার্ট ফেইলিওরসহ আরও অন্যান্য সমস্যা ছিল। এসবের মধ্যেই তিনি আক্রান্ত হন করোনায়। তাঁকে প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একপর্যায়ে তার ব্লাড প্রেশার আর উঠছিল না, হার্ট, লাং কাজ করছিল না। একপর্যায়ে আজ সকাল ১০টায় অফিসিয়ালি তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে কামাল লোহানী হাসপাতালে এসেছিলেন। আর মারা গেলেন আজ শনিবার সকাল ১০টায়। পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওনার ছেলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তার ছেলের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে। উনি দুই ঘণ্টা সময় নিয়েছেন। এখনও লাইফ সাপোর্ট খুলো হয়নি। সম্ভবত তাঁরা ফ্রিজিং ভ্যান নিয়ে আসছেন। আসলে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হবে।
আজ শনিবার (২০ জুন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন কামাল লোহানী।
বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন বরেণ্য এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর দুইটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া হার্ট ও ফুসফুসেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
গত বুধবার (১৭ জুন) সকালে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কামাল লোহানীকে। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। সেখানে তাঁকে আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়া হয়। গত মাসেও তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। করোনা সংক্রমনের আশঙ্কায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
গতকাল শুক্রবার (১৯ জুন) সকালে রাজধানীর পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষার ফলে কামাল লোহানীর পজিটিভ আসে। এর পরই তাঁকে নেওয়া হয় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



