জুমবাংলা ডেস্ক : মাগুরার মহম্মদপুরে নাতিকে মোবাইল কিনে দেওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে ছেলের ধাক্কায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বৃদ্ধ বাবা মারা গেছেন। ছেলের কাছে ক্ষমা চেয়েও বাঁচতে পারলেন না বাবা মনোরঞ্জন বিশ্বাস (৭৩)।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছেলে ও ছেলের বউকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন- আশোক বিশ্বাস (৩৭) ও তার বউ বিথীকা রানী বিশ্বাস (৩০)।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা গ্রামের মাঝিপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নহাটা পুলিশের তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. হুমায়ন কবির ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নিহত মনোরঞ্জন বিশ্বাসের নাতি ছেলে সৌরভ (৮) মোবাইল কেনার জন্য বায়না ধরে। সৌরভের পিতা অশোক ও মাতা বিথীকা রানী বিশ্বাস তাকে মোবাইল কিনে দিতে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
পরে সৌরভ তার দাদার কাছে মোবাইল কেনার কথা বললে দাদা মনোরঞ্জন বিশ্বাস তাকে মোবাইল কিনে দিতে রাজি হয়। পরে মনোরঞ্জন বিশ্বাস তার ছেলে অশোককে ডেকে সৌরভকে মোবাইল কিনে দিতে বলে। মোবাইল কেনার টাকাও দাদা মনোরঞ্জন বিশ্বাস দিতে চান। কিন্তু লেখাপড়ার ক্ষতি হবে বলে অশোক তার বাবাকেও জানিয়ে দেন মোবাইল কিনে দেওয়া যাবে না।
এ কারণে বৃদ্ধ বাবা মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সঙ্গে ছেলে অশোকের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছেলের কাছে মাফ চাইলেও অশোক তার বাবাকে গলা ধাক্কা দিয়ে ঘরের বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দেয়। তিনি মাথায় ও কপালেসহ শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় আঘাত পান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথম নহাটা বাজারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীরা জানান, মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সঙ্গে ও তার ছেলে অশোক বিশ্বাস এবং তার ছেলের বউ বিথীকা বানীর মাঝে মাঝে ঝগড়া হতো। বাড়ি থেকে অনেক চিৎকার শোনা যেত।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. হাফিজুর রহমান, মহম্মদপুর থানার ওসি নাসির উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি নাসির উদ্দীন জানান, বৃদ্ধের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।