জুমবাংলা ডেস্ক : বাবার সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ছিলো ছেলের। রমজানে একসঙ্গে ইফতার করার জন্য মাকে নিজের বাড়িতে ডাকেন ছেলে। ইফতারের কিছু সময় আগে ছেলের বাড়িতে ইফতার করতে যান ৫০ বছর বয়সী জামফুরা বেগম। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি স্বামী। ইফতারের সময়ই স্ত্রীকে ডেকে ছুরি দিয়ে কোপাকে থাকেন বুকে, পিঠে, হাতে ও গলায়। শত চেষ্টা করেও স্বামীর কোপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি জামফুরা। হাসপাতালে নেয়ার আগেই না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
বুধবার ইফতারের পর রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নলপুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে জামফুরার স্বামী জালাল মণ্ডল পলাতক। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, নিজের বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে জামফুরার ছোট ছেলে জিল্লুর রহমানের বাড়ি। বুধবার তার বাড়িতে ইফতার করতে গিয়েছিলেন জামফুরা। এতেই ক্ষিপ্ত হন তার স্বামী জালাল মণ্ডল। ইফতারের সময়ই ছেলের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে ডেকে আনেন। এরপর ছোরা দিয়ে বুকে, পিঠে, হাতে ও গলায় কোপান তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তার ছোট ছেলের স্ত্রী। শাশুড়ির চিৎকার শুনে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে স্ত্রীকে কুপিয়ে ছোরা হাতে দাঁড়িয়েছিলেন জালাল মণ্ডল। পরে তিনি পালিয়ে যান। এর পর জামফুরা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, এ ঘটনায় রাতেই নিহত জামফুরার বড় ছেলে লালু মণ্ডল বাদী হয়ে বাবার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর নিহত নারীর মরদেহ বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।