বিনোদন ডেস্ক : বেড়েছে শীতের তীব্রতা। উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাপন খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। শীতের এই সময় কিভাবে পার করছেন, পাশাপাশি শৈশবের শীতের স্মৃতিচারণা করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ।
বুধবার রাতে শুটিং থেকে বাসায় ফেরার পথে যে পরিমাণ কুয়াশা দেখেছি, তাতে ভালো করেই বুঝতে পেরেছি মানুষের অবস্থা। আমার জন্ম সাতক্ষীরা জেলার তালা থানায়। একেবারে দক্ষিণবঙ্গে। সুন্দরবন আমাদের থেকে বেশি দূরে নয়।ছোটবেলা থেকেই শীতের তীব্রতা দেখে বড় হয়েছি। এ সময় ত্বক খুব রুক্ষ হয়ে যায়। ছোটবেলায় শরীরে সরিষার তেল, চুলে নারকেল তেল মাখিয়ে দিতেন আম্মা-দাদি। এতে করে ত্বকটা মসৃণ থাকত।সন্ধ্যায় পাড়ার ছেলেমেয়েরা খড় দিয়ে আগুন জ্বালাতাম, সেই আগুন পোহাতাম। সকালে রোদে বসে সরিষার তেল দিয়ে আলু ভর্তা মাখা, নতুন পেঁয়াজের তরকারি খেতাম। আহ! এখনো মুখে লেগে আছে।মনে পড়ে, ছোটবেলায় বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলেই আমরা কয়েক দফা বনভোজন করতাম।কারো বাড়ি থেকে চাল, কারো বাড়ি থেকে ডাল, ডিম নিয়ে আসতাম। সারা বিকেল বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম। সন্ধ্যায় সবাই মিলে একটা মাঠে রান্না করতাম, খেতাম। তখন শীতটা মনেই হতো না। এখন গ্রামের ছেলেমেয়েরা এগুলো করে কি না জানি না।ছোটবেলা সাধারণত ত্বকের খুব বেশি যত্ন নিতাম না। বড়জোর একটু কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করতাম। ২০১০ সালের পর থেকে মেকআপ নিতে শুরু করেছি। ত্বকটা তখন থেকেই একটু একটু করে শুষ্ক হতে শুরু করেছে। এখন গ্লিসারিন অবশ্যই ব্যবহার করি। সেই সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল বা ময়েশ্চারাইজার ক্রিমও ব্যবহার করি। শনিবার বাড়ি যাব। ভোট দেওয়ার জন্যই এবারের যাওয়া। আগে থেকে ফোন দিয়ে জেনে নিয়েছি শীতের পরিস্থিতি। সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছি। শুনলাম সূর্যের দেখা পেতে দুপুর গড়িয়ে যায়। শীতের কাপড়-চোপড় বেশি করে নেব। দেখি কী হয়! এই সময় বাড়ি যাওয়া মানে তো শীতের সঙ্গে যুদ্ধ করা।