আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতেও ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছেন রোগীরা। শত অনুনয়েও করোনার টেস্ট ছাড়া ভর্তি করছে না কেউ, মুমূর্ষু রোগী নিয়ে অসহায় স্বজনরা ছুটছেন এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে৷ এক পর্যায়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন রোগী৷
গত ৯ জুন দিল্লি এবং এর উপনগরী নয়ডার অন্তত ছয়টি হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এরাবিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ওয়ালী আখতার নদভী। তাঁর করোনার উপসর্গ ছিল।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আদিত্য নারায়ণ মিশ্র গণমাধ্যমকে জানান, অধ্যাপক ওয়ালী আখতারকে ভর্তি করানোর জন্য তাঁর পরিবারে সদস্যরা ছুটছেন এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে। কিন্তু তাকে ভর্তি করাতে চাননি হাসপাতালগুলো। অবশেষে তিনি বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
ওয়ালী আখতারের সহকর্মী মুজিব আখতার জানান, গত ২ জুন ওয়ালী আখতার জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে হাসপাতালে যান। কিন্তু শরীরে জ্বর থাকায় কোনো হাসপাতালই তাকে ভর্তি করাননি।
এই মৃত্যুর জন্য তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে দায়ী করে বলেন, যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক এভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান তাহলে ভারতের সাধারণ নাগরিকদের অবস্থান কোথায় সেটা কেউ না বললেও বুঝা যায়।
অধ্যাপক ওয়ালী আখতার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এরাবিক বিভাগের দুই দুইবার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দিল্লির শাহিন বাগ এলাকায় থাকতেন। সূত্র: মুসলিম মিরর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।