বিনোদন ডেস্ক: ‘তুমি বন্ধু কালা পাখি, আমি যেন কী, বসন্তকালে তোমায় বলতে পারিনি…সাদা সাদা কালা কালা’ গ্রাম থেকে শহরে সবার মুখে মুখে গানটি। এই গানের স্রষ্টা হাশিম মাহমুদ। চারদিকে যখন তার গানের জয়জয়কার, তখন তিনি নিজের সাফল্যের স্বাদ অনুভব করতে পারছেন না। স্বাভাবিক জীবনে নেই তিনি। সিজোফ্রেনিয়া নামে এক জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত নিভৃতচারী এই শিল্পী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের কাছে খুবই পরিচিত একটি নাম হাশিম মাহমুদ। তার ইচ্ছা ছিল দেশের প্রখ্যাত গায়ক হবেন। মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়বে তার গান। আজ তার সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। সব বয়সী মানুষের মুখে ছড়িয়েছে ‘সাদা সাদা কালা কালা’। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তার আচরণ ও চিন্তাধারায় এসেছে অসংগতি। এমনকি ‘হাওয়া’ সিনেমায় হাশিম গাইতে না পারায় তার গানে কণ্ঠ দেন এরফান মৃধা শিবলু।
হাশিম মাহমুদের মা জমিলা আক্তার শেফালি গণমাধ্যমকে জানান, ‘হাশিম সারাদিন বাসাতেই থাকে। আপন মনে গান গায়, খাতায় লেখালেখি করে। খাতা-কলম শেষ হয়ে গেলে সেগুলো কিনে দিতে বলে। গানটা ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই তার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। ছবি তুলছেন। আমার ছেলেকে সবাই চিনছে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে সে তা বুঝতে পারছে না।’
পাঁচ ভাই ও দুই বোনের সংসারে বড় ছেলে হাশিম মাহমুদ। তার বাবাও গান করতেন। ১৯৯৪ সালে ডিগ্রি পাসের পর গানেই মনোযোগী হন হাশিম। তিনি ছড়া লিখতেন, সেগুলো নিয়ে অনুজ ও অগ্রজদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। আড্ডাবাজ মানুষ হিসেবেও ছোট-বড় সবার প্রিয় তিনি। আর তাই পরিবারের পাশাপাশি হাশিম মাহমুদের অনুরাগীরাও চান, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এই শিল্পী। আবারও মেতে উঠবেন গানে।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাশিম মাহমুদের আরেকটি গান ভাইরাল হয়েছিল। ‘তোমায় আমি পাইতে পারি বাজি’ শিরোনামের গানটি খালি গলায় গেয়েছিলেন তিনি। তবে সে সময় অনেকেই তার নাম শোনেননি। তার খোঁজও কেউ নেয়নি। ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানের বদৌলতে তার কদর বেড়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।