জুমবাংলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কোন বিদেশি শক্তির শক্তিতে বলীয়ান নয়, বাংলাদেশের জনগণের শক্তিতে বলীয়ান। সমস্ত বৈদেশিক রাষ্ট্রের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক। ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু।
তিনি বলেন, ‘এই দেশে গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক শক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সুতরাং যারা অগণতান্ত্রিকভাবে বন্দুকের নল থেকে বের হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তাদের সাথে গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক বিশ্ব থাকতে পারেনা।’
মন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড : পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য আওয়ামী লীগকে নাকি বিদেশী শক্তি টিকিয়ে রেখেছে -এ প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ, জনগণের শক্তিতেই আমরা বলীয়ান। বিএনপির পৃষ্টপোষকতায় সারাদেশের পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফোটানোর প্রতিবাদে ১৭ আগস্ট সমগ্র দেশব্যাপী আমরা বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিলাম। এটা ছিল ট্রায়াল মাত্র। কিন্তু গতকাল মির্জা ফখরুল সাহেবের যে সংবাদ সম্মেলন তাতে আমার মনে হল ট্রায়াল দেখেই তারা ভয় পেয়ে গেছে। আমরা মাত্র রিহার্সেল দিয়েছি, ফাইনালি নামব আগামী মাসে। তখন তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইনকে জবাই করা হয়েছিল। কিন্তু কারবালার প্রান্তরে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি, তাদের সবাইকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, চার বছরের সুকান্ত বাবু, ১১ বছরের বেবি সেরনিয়াবাতকে হত্যা করা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা বেগম আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন প্রকৃতপক্ষে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। এ হত্যাকান্ডের বড় সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারসহ সকল কুশীলব ও এর পটভূমি রচয়িতাদের মুখোশ উন্মোচন ও বিচাররের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানো আমাদের দায়িত্ব।’
সভার আয়োজক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, স্বজন কুমার তালুকদার প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।