জুমবাংলা ডেস্ক : আপনাদের কষ্টের টাকা দিয়ে কোন কাজ করবেন না,কাজ না হলে বসে থাকবেন,৫’শ টাকার কার্ডের জন্য ৬ হাজার টাকা দিবেন না। ঘুষ দিয়ে আপনি ঘুষ নেবার মতো পাপই করছেন।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে হবখালি ইউনিয়নের হাড়িগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্কুল শিক্ষক, কৃষক, স্থানীয় জন প্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষের এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা।
‘জনতার মুখোমুখি জনতার সেবক’ নামে এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে সকলের উদ্দেশে বলেন, আমি আপনাদের মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করতে আসিনি। দিনশেষে আপনার আমার হাতে উন্নয়ন দেখে আমাকে জবাবদিহি করবেন এই জন্যই এসছি। আমি আপনাদের চালাক বানাতে এসেছি। তাই ভোটের একবছর আগেই এসেছি, আগামীতে হয়তো আমি নাও থাকতে পারি,এখন আপনাদের কথা শুনে বাকি উন্নয়ন যেন করতে পারি তার হিসাব দিতে।
এলাকার লোকেরা রাস্তা-ঘাট নির্মান, হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসকের অভাব, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দূর্নীতি, সার দূর্নীত,বিদ্যালয় ভবন নির্মান, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মান, মসজিদ-মন্দির সংস্কারের দাবী তুলে ধরেন।
সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এসব প্রশ্ন নোট করেন ও ধাপে ধাপে সব প্রশ্নের উত্তর দেন।
জনতার সামনে মাশরাফি টি আর,কাবিখা,কাবিটার জন্য কোন টাকা নিয়ে থাকলে তা এখানে বলতে পারেন এমন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
সার সংকট এবং ভূমি অফিসের দূর্নীতি বিষয়ে তিনি বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
তিনি আরও বলেন, চাকিরর জন্য আপনার বিভিন্ন অফিসে টাকা দিয়ে আমার কাছে আসলে কোন লাভ হবে না। যোগ্যতা থাকলে আপনাদের চাকরি হবে।
রাস্তা-ঘাট নির্মাণের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,করোনার কারণে কাজ কিছুটা থেমে গেলেও আমি একবিন্দু থামিনি। স্কুল ও রাস্তাঘাট উন্নয়নে একশ ৫ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। তবুও গত চার বছরের বাকি সময় আমি বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মন্দিরেও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি ওই ইউনিয়নে উন্নয়নের বিভিন্ন বরাদ্দের তালিকা পড়ে শুনান।
ইউনিয়নের এক আওয়ামী লীগ নেতার এমপির সঙ্গে দেখা করতে না পারার অভিযোগে তিনি বলেন, আপনাদের জন্য আমার দরজা চব্বিশ ঘণ্টাই খোলা। যে কেউ আমার সাথে দেখা করতে পারেন। আপনাদের কথা শুনতে আমি বাধ্য।
চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, চাইলেই রাতারাতি এখানে হাসপাতাল বানানো সম্ভব নয়। সরকারি কাজের কিছু নিয়ম-কানুন আছে। এসব নিয়ম মেনে এ ব্যপারে যা যা করা সম্ভব সব কিছু করবো। আপনারা আমার উপর বিশ্বাস রাখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যড. সুবাষ চন্দ্র বোস, নড়াইল পৌর মেয়র আন্জুমান আরা, প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন,জেলা পরিষদ সদস্য খোকস সাহা, হবখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান,নলদী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,আউড়িয়া চেয়ারম্যান এস এম পলাশ,আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
আগামী ২২ ডিসেম্বর লোহাগড়া উপজেলার কোটাখোল ইউনিয়ন ও ২৩ ডিসেম্বর কাশিপুর ইউনিয়নে জনতার মুখোমুখি হবার কথা রয়েছে সংসদ সদস্য মাশরাফ বিন মোর্তুজার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।