জুমবাংলা ডেস্ক : গত ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনার ১৫ বছরের সরকারের পতনের পরে সচিবালয়ের পরিস্থিতি যে শব্দটি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় সেটি হল, ‘বিশৃঙ্খল’।
ডেইলি স্টারের করা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যারা রাজনৈতিক কারণে বা খারাপ ট্র্যাক রেকর্ডের জন্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, যাদেরকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু তাদের পছন্দের জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি এবং যারা ভালো অবস্থানে আছেন কিন্তু খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য বড় পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা সবাই ক্ষুব্ধ।
গত সপ্তাহ জুড়ে প্রতি ঘণ্টায় মিছিল হয়েছে। কিন্তু সবার দাবি ব্যক্তিগত সুবিধা বাড়ানো। এর বাইরে পাবলিক সার্ভিস উন্নত করার কথা নেই।
তাদের মতে, “এই প্রশাসন পচে গিয়েছে। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবের কারণে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা – সচিবরা – তাদের কাজ এবং নেতৃত্বে সততার উদাহরণ স্থাপন করতে সক্ষম হননি”।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব বলেন, বিগত শাসনামলে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা পদোন্নতি, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শুধু সময় ব্যয় করেছেন।
তিনি বলেন, গত দেড় দশকে কোনো প্রশাসনিক সংস্কার করা হয়নি এবং যারা সংস্কারের জন্য চাপ দিতে চেয়েছিলেন তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি।
পরিস্থিতি এতটাই বিশৃঙ্খল যে সচিবালয়ে স্থাপিত মন্ত্রণালয়গুলো ৫ই অগাস্ট থেকে তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না।
তবে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে নতুন উপদেষ্টা বা সচিব রয়েছে সেগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।