স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাড়ে ৭ কি মি লম্বা জার্মানির পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় এ পতাকা প্রদর্শন করা হয়।বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে বিশ্বের পতাকাটি সবচেয়ে বড় জার্মান পতাকা বলে দাবি করা হচ্ছে।
জার্মানি দলের সমর্থক মাগুরার ঘোড়ামারা গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন এই সাড়ে ৭ কি মি লম্বা জার্মানীর পতাকা তৈরি করেছেন।
মাগুরা সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর হাইস্কল মাঠে এই সাড়ে ৭ কিলোমিটার লম্বা পতাকা প্রদর্শন করা হয়। এসময় চাউলিয়া ইপির চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমাসসহ গ্রামবাসী, সাংবাদিক ও সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এটি জার্মানির সবচেয়ে বড় পতাকা বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। বাদ্যযন্ত্রসহকারে পতাকা প্রদর্শনী এলাকা উৎসবে রুপ নেয়।
আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে মাগুরার ঘোরামারা গ্রামের আমজাদ হোসেন নামে এক জার্মান সমর্থক বাসিন্দা সাড়ে সাত কি মি লম্বা জার্মানির পতাকা করছেন। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে সাড়ে তিন কি মি লম্বা জার্মানীর পতাকা তৈরিকারী মাগুরার আমজাদ হোসেন ২০১৮ সালে আরও দুই কি মি বাড়িয়ে সাড়ে পাঁচ কি মি লম্বা পতাকা তৈরি করেন। এবার তা আরও দুই কিলোমিটার বাড়িয়ে সাড়ে সাত কিলোমিটার করেছেন।
আমজাদ হোসেন পেশায় কৃষক এবং ১০ সন্তানের জনক। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় ৩০ শতক জমি বিক্রি করে সাড়ে ৩ কিমি লম্বা জার্মানির পতাকা তৈরি করেন। সেই পতাকা দেখতে মাগুরায় আসেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত। মাগুরা বীর মুক্তিযোদ্ধা স্টৈডিয়ামে সেই পতাকা প্রদর্শন করা হয়। তাকে জার্মান ফ্যান ক্লাবের সদস্যপদ প্রদান করা হয়।
এবার ২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে মাগুরার আমজাদ হোসেন তার পাতাকার মাপ আরও দুই কি মি বাড়িয়ে ছিলেন। সেবার সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর হাইস্কল মাঠে এই সাড়ে ৫ কিলোমিটার পতাকা প্রদর্শন করা হয়। সে সময় ঢাকার জার্মানি দুতাবাসের তিনজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আজ শুক্রবার একই স্থানে সাড়ে সাত কিলোমিটার পতাকা প্রদর্শন করা হয়। এবার দুই কিলোমিটার বাড়াতে তার খরচ হয়েছে এক লক্ষ টাকা। পতাকা প্রদর্শনের সময় চাউলিয়া ইপির চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমাসসহ গ্রামবাসী ও সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, জার্মানির বিটি নামে হোমিও ওষুধ খেয়ে তার অসুখ সারায় তিনি জার্মানির ভক্ত হয়ে যান। তিনি বিশ্বকাপ ফুটবল আসলেই জার্মানির পতাকা তৈরি ও প্রদর্শন করেন। বাদ্যযন্ত্রসহকারে পতাকা প্রদর্শনী এলাকা উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করে।
মাগুরার চাউলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান বলেন, ‘আমজাদ আমার এলাকার ছেলে। সে জার্মান দলের পাগলভক্ত। নিজের জমি বিক্রি করে সে জার্মান দলের পতাকা তৈরি করেছে। যা অনেকেই পক্ষে করা সম্ভব নয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।