জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আর্কটিক অঞ্চলের তাপমাত্রা বাড়ছে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া আর পরজীবী সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে মেরু ভালুকের। ক্রমবর্ধমান এ ঝুঁকির প্রবণতা ৩০ বছর আগেও কম ছিল বলে ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের এক গবেষণায় দেখা গেছে। বরফ কমে যাওয়ার সঙ্গে মেরু ভালুকের রোগ সংক্রমণের সম্পর্ক জানতে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গবেষণার জন্য আলাস্কা ও রাশিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে থাকা বিভিন্ন মেরু ভালুকের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় বিভিন্ন মেরু ভালুকের রক্তের নমুনায় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবীর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের জীববিজ্ঞানী ক্যারিন রোড বলেন, পুরো আর্কটিক অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র বেশ পরিবর্তন হচ্ছে। সামুদ্রিক বরফের ক্ষতির কারণে মেরু ভালুকের ভূমিতে অবস্থান বেড়েছে।
রক্ত পরীক্ষায় রোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখা পাঁচটি প্যাথোজেন এজেন্ট মেরু ভালুকের শরীরে পাওয়া গেছে, যার মধ্যে দুটি পরজীবী টক্সোপ্লাজমোসিস ও নিওস্পোরোসিস তৈরি করে। আর দুটি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে, যার কারণে খরগোশের জ্বর ও ব্রুসেলোসিস রোগ হয়ে থাকে। এ ছাড়া ক্যানাইন ডিস্টেম্পার রোগের জন্য দায়ী একটি ভাইরাসেরও খোঁজ মিলেছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বিশ্বে প্রায় ২৬ হাজার মেরু ভালুক রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের তথ্য বলছে, বর্তমানে মেরু ভালুক বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তারা ধ্বংসের মুখে পড়ছে। মেরু ভালুকের শক্তিশালী ঘ্রাণশক্তি রয়েছে। আর তাই মেরু ভালুক শিকারে বেশ পারদর্শী। ধারণা করা হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি শিকারের সময় বিভিন্ন রোগজীবাণুর সংস্পর্শে আসছে মেরু ভালুক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।