বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত হচ্ছে জলবায়ু। যার প্রভাব পরছে প্রাণীকুলেও। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে আবাসস্থল হারিয়ে নতুন ঠিকানায় যাবে সাপের দল। তবে আশংকার বিষয় হচ্ছে এই নতুন ঠিকানায় নাম রয়েছে বাংলাদেশেরও।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাপ অত্যন্ত উপকারী প্রাণী। কিন্তু এই সাপ যখন তীব্র আগ্রাসী হয়ে অন্য প্রাণীকে দংশন করে, তখন তার থেকে ভয়ংকর আর কিছুই হয়না। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিষধর সাপের প্রভাব নাকি বাড়বে বেশ কয়েকটি দেশে।
আশংকার ব্যাপার হল, এ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশেরও নাম। কিছুদিন আগেই তীব্র গরমে দেশে বিষধর সাপের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছিল, ‘স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশ’ নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এসময়, সবাইকে সতর্ক করে সংগঠনটি জানায়, দাবদাহে মানুষের মত সাপেরও হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরী হয়, সাপ হয়ে ওঠে সাপ সক্রিয় হয়
এদিকে, ল্যানচেট প্ল্যানেটরি হেলফ জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২০৯ প্রজাতির বিষধর সাপের ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে একটি গবেষণা করা হয়েছে।
এতে জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিষাক্ত সাপেরা তাদের স্থান পরিবর্তন করে দল বেধে অন্য অঞ্চলে আবাস গড়তে চলেছে। এসময়, সাপ ছোবল দিলে যে সব অঞ্চলে উন্নত চিকিৎসাসহ কোন পূর্ব প্রস্তুতি নেই, সেই অঞ্চলের লোকেরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে নেপাল, নামিবিয়া, চীন, থাইল্যান্ডসহ ভারত আর বাংলাদেশ। যেটা কিনা আমাদের জন্য একটা বড় দুঃসংবাদই বলা যায়।
এ গবেষণায় আরও জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব বিষধর সাপেরা ২০৭০ সালের মধ্যে তাদের আবাসস্থল হারিয়ে ফেলবে। এসময়ের মধ্যে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পশ্চিম আফ্রিকার সবচেয়ে বিষধর গ্যাবুন ভাইপার, ইউরোপীয় এএসপি, শিংযুক্ত ভাইপার জাতের সাপ অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বাড়বে ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত। এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যে জানা যায়, দেশে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। তাই এখন থেকেই সাপের প্রভাব ঠেকাতে গণসচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।