নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই নবনিযুক্ত ডেপুটি গভর্নর মোঃ খুরশীদ আলম ও ড. মোঃ হাবিবুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
গত ৮ মার্চ শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত জাতির পিতার সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন তাঁরা। পরে পবিত্র সূরা ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড ১) মোঃ খুরশীদ আলম ও প্রধান অর্থনীতিবিদ মোঃ হাবিবুর রহমান নতুন ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান। ওইদিন সন্ধ্যায় তারা নিজ নিজ পদ থেকে ইস্তফা দেন। ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত জাতির পিতার প্রকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এসে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁদের দুজনকেই আগামী তিন বছরের জন্য ডেপুটি গভর্নর পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এই দুই অভিজ্ঞ ও দক্ষতাসম্পন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকার ডেপুটি গভর্নর পদে আসায় ব্যাংক খাত নিয়ে যারা ভাবেন তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। কারণ, আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণে গভর্নরের পাশাপাশি ডেপুটি গভর্নরদেরও অনেক ভূমিকা থাকে। এর পূর্বে কিছু ডেপুটি গভর্নরের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আর্থিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার ক্ষত এখনো শুকোয়নি। তাই, নতুন ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের সময় আসলেই আর্থিক খাত সংশ্লিষ্টরা এই বিষয়ে গভীর দৃষ্টি রাখেন। এবারের নিয়োগে ব্যবসায়ী গ্রুপগুলোকে প্রভাব খাটাতে সুযোগ না দেওয়ায় বেশি প্রশংসিয় হয়েছে আর্থিক খাতের বোদ্ধাদের কাছে।
ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় মেধা ভিত্তিতে ১৯৮৮ সালে সহকারী পরিচালক পদে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন খুরশীদ আলম।বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব পালনকালে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি, ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও সুকুক বন্ড চালুকরণসহ সহ বন্ড মার্কেট শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ, কৃষি ঋণ বিভাগ, পেমেন্ট সিস্টেমস্ ডিপার্টমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন, এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ ডিপার্টমেন্ট, সচিব বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
এছাড়া সিলেট ও রংপুর অফিসের নির্বাহী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিস্তারে পথে-প্রান্তরে ছুটে বেড়িয়েছেন। বিশেষ করে সিটমহল বিনিময়ের পরপরই এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করার কারণে বিশেষভাবে প্রসংশিত হন। ব্যাংক খাত ও ব্যাংকারদের কল্যাণে ‘সাহসী কণ্ঠস্বর’ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে খুরশীদ আলমের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মোৎ হাবিবুর রহমান গবেষণা বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যোগ দেন। ২০২২ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ পদে নিয়োগ পান মো. হাবিবুর রহমান। এর আগে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৯ সাল থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদের কাজটিও করছিলেন। এসময় করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধসৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সঠিক পথনির্দেশ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।