জুমবাংলা ডেস্ক: আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, ‘বগুড়ায় কাহালু-নন্দীগ্রাম আসনের উপনির্বাচনে আমাকে নয়-ছয় করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ করতেই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হয়েছি।’
আজ সকাল ৮টার দিকে বগুড়ার সদর উপজেলার এরুলিয়া ঈদগাহে নামাজ আদায়ের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হিরো আলম বলেন, ‘৩ লাখ ৩৩ হাজার ভোটারের মধ্যে গুলশান-বনানী এলাকার এলিট শ্রেণির ভোটারের সংখ্যা খুব বেশি নয়। তা ছাড়া এলিট শ্রেণির মানুষও যে হিরো আলমকে পছন্দ করেন, সেটা ভোটেই প্রমাণ করে দেব। হিরো আলমকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। কারণ আমি মাটি ও মানুষের কথা বলি। হিরো আলমকে ডাক দিলে কাছে পাওয়া যায়। যারা অনেক বড় বড় ও আমাকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেন, তারা কিন্তু মাঠে থাকে না। শুধু ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও বড় বড় বুলি ছাড়ে।’
নির্বাচন নিয়ে সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আশঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও কোনরকম হুমকি-ধমকি পাইনি। পরিবেশ অনেক ভালো ও শান্ত আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
বগুড়ার মতো ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনেও একতারা প্রতীকে ভোট করা প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘একতারা এখন জনপ্রিয়তার প্রতীক। সবার পরিচিত মার্কা এখন একতারা। সেই হিসেবে ভালোই হয়েছে।’
সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান পাঠান ওরফে চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীকে অংশ নিয়েছেন হিরো আলম।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে হারেন তিনি। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসানের কাছে জামানত হারান বগুড়া-৬ আসনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।