জুমবাংলা ডেস্ক: জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ শ্রদ্ধা আর ভাবগাম্ভীর্যের সাথে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ পালন করেছে। খবর ইউএনবি’র।
সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফায়ারস ড. শাহিদা আকতার।
এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়ায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস জাপান কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চার্জ দ্যা অ্যাফায়ারস ড. শাহিদা আকতার। পরে আগত অতিথি, জাপান প্রবাসী এবং জাপান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
শাহিদা আকতার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙালী জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা, তিনিই বাঙালী জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আর তার দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন। ইনশাল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলবই।’
আলোচনা পর্বে প্রবাসী নেতারা জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন এবং এ শোককে শক্তিতে রুপান্তর করে আরও উদ্যম ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন।
দূতাবাসের মিনিস্টার এবং দূতালয় প্রধান ড. জিয়াউল আবেদীনের সার্বিক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতার সংগ্রাম আর জীবন-কর্ম নিয়ে ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।