আর্টিকেল ৯ এর কারণে জাপানের সংবিধান অন্য দেশের সংবিধান থেকে বেশ ইউনিক হতে পেরেছে। পাশাপাশি এটি ‘শান্তির সংবিধান’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। জাপানের রাষ্ট্রের প্রকৃতিও অন্যদের থেকে বেশ আলাদা। তবে শিনজে আবের কারণে জাপান তার ঐতিহ্য থেকে দূরে সরে রাষ্ট্রের সামরিকায়ন করতে আগ্রহী।
জাপানের আর্টকেল ৯ এ দুইটি বিষয় উল্লেখযোগ্য।
(১) আন্তরিকভাবে আকাঙ্ক্ষিত আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য ন্যায়বিচার ও শৃঙ্খলার উপর ভিত্তি করে জাপানি জনগণ চিরকালের জন্য জাতির সার্বভৌম অধিকার হিসেবে যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তির উপায় হিসেবে হুমকি বা শক্তির ব্যবহার ত্যাগ করবে।
(২) পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য স্থল, সমুদ্র এবং বিমান বাহিনী, এবং সেই সাথে অন্য যুদ্ধের সম্ভাবনা রয়েছে সেসব বাহিনী কখনোই রাখা হবে না। রাষ্ট্রের যুদ্ধের অধিকার স্বীকৃত হবে না।
শিনজে আবে ক্ষমতায় আসার পর আর্টকেল ৯কে পুনরায় ব্যাখা করার প্রয়োজন বোধ করেন। ২০২০ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। জাপান সামরিক ব্যয় বাড়ায় ২৬ শতাংশ। তাদের নিজস্ব সেলফ ডিফেন্স ফোর্স রয়েছে যার পেছনে ৫২ বিলিয়ন ডলারের মত ব্যয় করতে হচ্ছে।
জাপান নিজের অস্ত্রের ভান্ডার বড় করছে। বিদেশি শক্তির কাছ থেকে অনেক অর্থ ব্যয় করে অস্ত্র কেনা হচ্ছে। UUV, বোম্ব, মিসাইল নিয়ে কাজ করছে জাপান। এমনকি বর্তমান সময়ে অধিকাংশ জাপানিরা আর্টিকেল ৯ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তারা আর্টিকেল ৯ এর বাতিল চান।
অথচ ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান যুদ্ধ-সংঘর্ষ পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে চেয়েছে। সেভাবেই রাষ্ট্রের গঠন এবং কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তাইওয়ানের উপর চীনের হুমকি এবং উত্তর কোরিয়ার হামলার হুমকি সবকিছু জাপানকে তার দীর্ঘদিনের শান্তির পথ থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছে। জাপান বর্তমানে তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধির দেখে মনোযোগী হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।